রাস্তা নির্মাণের এক সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে ফাটল এবং এইজিং এর ইট খসে দুর্ঘটনার কথা জিজ্ঞেস করতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারি প্রকৌশলী মিজানুর রহমান। তিনি সাংবাদিকদের বললেন, আপনারা রাস্তার কোনো কিছুই দেখেননি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্মাণাধীন মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের চেংগাড়া থেকে চোখতোলা পর্যন্ত রাস্তায় নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে গোঁজাতালি দিয়ে কাজ করছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। রাস্তাটি নির্মাণের এক সপ্তাহের মধ্যে রাস্তার পাশে বেশ কয়েক স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। দেবে গেছে বেশ কয়েক স্থানে। খুব অল্প সময়ে তড়িঘড়ি করে রাস্তা নির্মাণ করার কারণে এমনটি হয়েছে বলে জানা গেছে। রাস্তা নির্মাণের সময় সড়ক বিভাগের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে দেখা যায়নি। যে কারনে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে গোঁজাতালি দিয়েই নির্মাণ করা হচ্ছে রাস্তাটির কাজ।
সম্প্রতি একটি চলন্ত ট্রাক রাস্তার ধার দিয়ে যাওয়ার সময় চোখতোলা নামক স্থানে ধসে ট্রাকটি রাস্তার পাশে খাদে উল্টে পড়ে। ধসে যাওয়া স্থানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে দ্রুত আবার মেরামত করেছেন। এই বিষয়ে মেহেরপুর সড়ক বিভাগের এসডিই মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আপনারা রাস্তার কিছুই দেখেননি। সড়কে কোনো ট্রাক উল্টে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেনি।
একটি সুত্র জানিয়েছে, গোঁজামিল দিয়ে তৈরী রাস্তা নির্মাণের সচিত্র রিপোর্ট করে নেওয়ার জন্য তিনি প্রতিদিনই তার অনুগত কয়েকজন সাংবাদিকের কাছে ধর্ণা দিয়ে থাকেন। তাদের পেছনে মোটা অংকের অর্থ ব্যয় করে তার অপকর্মকে সফল করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন।