মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪টি পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র প্রদান করা হলেও নির্ধারিত কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ধারনা করা হচ্ছে পরীক্ষা না নিয়ে অর্থ গ্রহণ করা প্রার্থীদেরকেই নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
গতকাল শুক্রবার মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে এ নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রার্থীদের প্রবেশ পত্র প্রদান করা হয়। খবর পেয়ে মেহেরপুর প্রতিদিনের প্রতিনিধি নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে গেলেও কেন্দ্রের গেটে তালা লাগানো দেখতে পান। সেখানে প্রায় দেড় ঘন্টা অবস্থান করেও কোন পরীক্ষা সংক্রান্ত কোন কিছুই দেখতে পাননি।
পরে মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাজী অনিসুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, এ ধরণের কোন পরীক্ষা নেওয়ার কথা বা কোন চিঠি তিনি পাননি। যে কারণে গতকাল শুক্রবার তাঁর প্রতিষ্ঠানে কোন নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহাজ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। একই ভাবে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আমদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আশরাফপুর গ্রামের শিক্ষানুরাগী কয়েকজন জানান, আশরাফপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, নিরাপত্তা প্রহরী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আয়া পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রথম বিজ্ঞপ্তিটি অখ্যাত দুটি পত্রিকায় প্রকাশ করে চারটি পদে ৩২ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন সভাপতি আনারুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক তাহাজ উদ্দিন এমন অভিযোগ তোলের গ্রাম বাসী। এ নিয়ে মেহেরপুর প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশিত হলে তারা ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করেন। পরবর্তিতে আবারও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। ওই অভিযোগে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে জিনারুল ইসলাম, নিরাপত্তা প্রহরী পদে ইমাদুল ইসলাম, পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে হাসান আলী ও আয়া পদে আঁখি খাতুন নিয়োগ দেওয়ার জন্য তাদের কাছে থেকে ওই টাকা গ্রহণ করা হয়েছে। ওই চারজনকেই নিয়োগ দিতে আবারও তারা পরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু করে গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রার্থীদের নিয়োগপত্র প্রদান করেন।
নিয়োগপত্রে গতকাল শুক্রবার মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করার কথা বলা হয়। কিন্তু পরীক্ষা না নিয়ে তারা তাদের বাছাইকৃত এবং যাদের কাছে থেকে অর্থ গ্রহণ করেছেন তাদেরকেই নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন।