পৌরসভা নির্বাচনের শেষ মুহুর্তের প্রচারণার আগের দিন মোবাইল মার্কা প্রতিকের নেতাকর্মীদের তান্ডব। আলমডাঙ্গায় ঘন্টা ব্যাপি মোবাইল প্রতিকের নেতাকর্মীরা নৌকা প্রতিকের ৫টি অফিস, ২টি বাড়ি, ২টি দোকান ভাংচুর করে। এছাড়াও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আওয়ামীলিগের তিন কর্মীকে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করেছে।
ঘটনাটি গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে পৌর এলাকাজুড়ে এ তান্ডব চালায় তারা। এ ঘটনায় পৌরসভা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাতেই চুয়াডাঙ্গার সদর সার্কেল জাহাঙ্গীর হোসেন, থানার ওসি আলমঙ্গীর কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এই ঘটনার পর আলমডাঙ্গা পৌর এলাকায় থম থমে অবস্থা বিরাজ করে।
জানাগেছে, আগামি ১৪ ই ফেব্রুয়ারি আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আজ শুক্রবার শেষ রাতেই শেষ হচ্ছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। শেষ মুহুর্তের প্রচারণায় আওয়ামীলিগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচারণা চালানোর সময় এম সবেদ আলীর মোবাইল মার্কার প্রার্থীরা আওয়ামীলিগের অফিসে হামলা চালায়। এ হামলা চলে ৩ নং ওয়ার্ডের কলেজ মোড়, ৪নং ওয়ার্ড আনন্দধাম, ৫নং ওয়ার্ড এরশাদপুর চাতাল মোড়, ৬নং গোবিন্দপুর হরিতলা ,৭নং গোবিন্দপুর মাঠ পাড়ার নৌকা প্রতিকের অফিস ভাংচুর করে।
এছাড়াও, মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান আলি মৃধার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মিডিল এর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। আওয়ামীলিগের কর্মী লালনের বাড়ি, পৌর এলাকার চাতাল মোড়ের প্রতিবন্ধী শাহিনের মুদি দোকান ভাংচুর ও লুটপাট ও হাসেমের দোকান ভাংচুর করে।
আলমডাঙ্গার এরশাদপুর চাতাল মোড়ে হাসান কাদির গনুর নৌকার অফিসের থাকা অবস্থায় হামলা চালিয়ে এরশাদপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে রশিদ (৪৫), মৃত জিন্নার ছেলে শাহিন (৩৫), জামিল হোসেনের ছেলে বিপ্লব গুরুত্বর জখম হয়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের হারদি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গার জেলার সদর সার্কেল জাহাঙ্গীর হোসেন, আলমডাঙ্গা থানার ওসি আলমঙ্গীর কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় আওয়ামীলিগের মনোনিত প্রার্থী হাসান কাদির গনু বলেন, আমরা কোন ভাংচুরের রাজনীতি করি না। যারা নির্বাচনকে ঘিরে অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে তাদের পাল্টা জবাব আমরাও দিতে পারি।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি আলমঙ্গীর কবির বলেন,“ নির্বাচনকে ঘিরে কোন অস্থিরতা মেনে নেওয়া হবে না। যদি কেউ আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করার চেষ্ঠা করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চুয়াডাঙ্গার সদর সার্কেল জাহাঙ্গীর হোসেন জানান,“ ভোটকে কেন্দ্র করে অফিস ভাংচুর, মারপিট এ গুলো নির্বাচনি আইন লঙ্ঘন। আইন না মেনে যারা অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।