গাংনী সাব-রেজিস্ট্রারের দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় তিনি পত্রিকা বর্জন করতে বলেন মুহুরিদের । সাব-রেজিস্ট্রার মাহাফুজ রানা মুহুরিদের সেরেস্তা পরিদর্শনের সময় সব মুহুরিদের তিনি মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকা ক্রয় করতে নিষেধ করেন। সেই সাথে মেহেরপুর প্রতিদিন এর সম্পাদক, প্রকাশক ও সংবাদ কর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেন।
সম্প্রতি মেহেরপুর জেলার একমাত্র দৈনিক পত্রিকা মেহেরপুর প্রতিদিন গাংনী সাব-রেজিস্ট্রার মাহফুজ রানার বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি তুলে ধরে পৃথকভাবে দুইটি সংবাদ প্রকাশ করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বুলবুল নামের এক মুহুরি সেরেস্তা আসে। সেখানে “মেহেরপুর প্রতিদিন” পত্রিকা পড়ছিলেন মেহেরপুর প্রতিদিনের একজন নিয়মিত পাঠক। এসময় মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকা দেখে তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন সাব-রেজি: মাহাফুজ রানা।
মহুরিদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকা পড়বেন না। এমতবস্থায় সেখানে বসা ছিলো সাংবাদিক মিয়ারুল। সে প্রতিবাদ করে সাব রেজি: এর উদ্দেশ্যে বলেন, পত্রিকা বিষয়ে পাঠককে পরামর্শ দেওয়া আপনার ঠিক হচ্ছে না। একথা বলায় সাব রেজি: ঐ সাংবাদিকের সাথে বাক-বিতণ্ডে জড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক মিয়ারুল সাব রেজিস্ট্রারকে বলেন, মেহেরপুর জেলার পত্রিকা নিয়ে কথা বলার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে? সেই সাথে সাংবাদিক সম্পর্কে বাজে কথা না বলার জন্য তাকে অনুরোধও করেন। কিন্তু সাব রেজিস্ট্রার উল্টো সেই সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকার সকলের বিরুদ্ধে বাজে মন্তব্য করেন।
এ ছাড়াও নিজেকে ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে বলেন, আমি নিজে তথ্য মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করছি, খুব তাড়াতাড়ি মেহেরপুর প্রতিদিন বন্ধ হয়ে যাবে। আমি নিজে একজন ম্যাজিস্ট্রেট, আমার অনেক ক্ষমতা আছে। ওই সব ৩ টাকার পত্রিকার সাংবাদিককে আমি গুনি না। আমি ছাত্রলীগের নেতা ছিলাম, আমার বাবা আওয়ামী লীগের নেতা, কেও আমার কিছু করতে পারবে না। প্রশাসনের বড় বড় কর্মকর্তা আমার নিজের লোক, বেশি বাড়াবাড়ি করলে মামলা দিয়ে জেলের ভাত খাইয়ে ছাড়বো।
এ বিষয়ে সাব রেজিস্ট্রার মাহফুজ রানা মেহেরপুর প্রতিদিন কে বলেন, মেহেরপুর প্রতিদিন বাজে সংবাদ প্রকাশ করে এমন মন্তব্য আমি করেছি। কিন্তু পত্রিকা সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের সম্পর্কে আমি কোন বাজে মন্তব্য করিনি। এটা কেউ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আমার বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ হয়ে মেহেরপুর প্রতিদিনে উপস্থাপন করেছে।