গাংনী উপজেলার ধর্মচাকী গ্রামের দক্ষিণপাড়ায় পথে ধান রাখাকে কেন্দ্র সৃষ্ঠ সংর্ঘেষ উভয় পক্ষের ৬ জন মারাত্বক আহত হয়েছেন।
এক পক্ষের আহতরা হলেন, মাহাবুল হকের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩৫), ইয়ার আলীর ছেলে আফাজ উদ্দীন ওরফে ফকির (৪৫) ও মনিরুল ইসলাম (৫৫)।
অপরপক্ষের আহতরা হলেন ইয়াসিন আলীর ছেলে আসমত আলী (৪৫), হারুন অর রশিদের ছেলে স্থানীয় মসজিদের ইমাম আব্দুল কাদের (হুজুর) (৫০) ও মুস্তাক আলীর ছেলে সেলিম হোসেন (৪০)।
বুধবার দিবাগত রাত ৮ টার দিকে গাংনী উপজেলার ধর্মচাকী গ্রামের দক্ষিণপাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতর সবাই গাংনী উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গাংনী উপজেলা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক বোধাদিপ্ত দাশ (বিডি দাশ) জানান, আহতদের সকলেরই মাথায় হাতুড়ি, ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
আহত সেলিম রেজা জানান, মোস্তাক আলীর পথের উপর প্রতিবেশী সাইফুল ইসলাম পথ দখল করে ধান রেখেছে। তাকে পথের উপর ধান রাখতে নিষেধ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সাইফুল ইসলাম তার লোকজন। এক পর্যায়ে আফাজ উদ্দীন হাতুড়ি দিয়ে হাফেজ কাদেরের মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ।
এদিকে সাদ্দাম হোসেন জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোস্তাক হোসেন তার নিজের পথের উপর ধান রাখলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মোস্তাক হোসেনের ছেলে সুজন (২৫) ও মনিরুজ্জামানকে পিটিয়ে আহত করেন প্রতিপক্ষরা। সে ঘটনার জের ধরে আবারও আজকে বুধবার রাতে তারা আমাদের উপর হামলা করে আমাদের লোকজনকে আহত করেন। তারা উভয়ে জানান, এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, খবর আসার সাথে সাখে ওই গ্রামে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে গ্রামে শান্ত পরিস্থিতি রয়েছে। মামলা দিয়ে তাদের মামলা নথিভূক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।