প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানেই নতুন কিছু, মানুষের মনে কাছাকাছি নতুন কিছু একটা করা। তেমনই পদ্মাসেতুর ওপর রেল উদ্বোধনের সময় তাঁর যাত্রী হলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা, রিকশাচালক, কৃষক, মাঝি, বাসচালক, সবজি বিক্রেতা, পাটকল শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ৫০ জন যাত্রী।
কারা কারা ছিলেন এই তালিকায়? চারজন বীরমুক্তিযোদ্ধা, চারজন প্রাথমিক ছাত্র/ছাত্রী, একজন প্রাথমিক শিক্ষক, একজন মাদ্রাসা শিক্ষক, ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর দুইজন প্রতিনিধি, একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এক জন, একজন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী, একজন রিক্সাচালক, নারী কৃষক একজন, ফেরিচালক এক জন, একজন মাঝি, একজন মেট্রোরেল কন্ট্রোলার, টিটিই একজন, ট্রেনচালক একজন, স্টেশন মাস্টার, ওয়েম্যান, বাসচালক একজন, হকার, সবজি বিক্রেতা এবং পাটকল শ্রমিক।
এছাড়া আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর নানা পেমাজীবীদের প্রতিনিধিরাও সাথে ছিলেন। এরমধ্যে ছিলেন জেলা আনসার ও ভিডিপির একজন, ফায়ার সার্ভিসের একজন, পুলিশ একজন, স্কাউট থেকে একজন, বিএনসিসির একজন, র্যাবের একজন, রেল পুলিশ একজন, বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর একজন, বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর একজন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এক জন, বিজিবির একজন, কোস্টগার্ড- আরএনবি সদস্যদের প্রতিনিধিরা ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যাত্রী হতে পেরে তারা বিভিন্নভাবে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঐতিহাসিক মুহূর্ত শেয়ার করার আনন্দ ছিলো তাদের চোখে মুখে। তারা বলছেন, সবাইকে সমানভাবে দেখার যে মহত্ব প্রধানমন্ত্রী দেখিয়েছেন সেটা অনবদ্য। সবার সমান সুযোগ নিশ্চিত করায় ও মানুষকে কাছে টেনে নেওয়ার এক অনন্য ক্ষমতা আছে প্রধানমন্ত্রী।
পদ্মার ওপর দিয়ে সড়ক যোগাযোগ চালুর ১৫ মাসের ব্যবধানে চালু হলো ট্রেন। মঙ্গলবার পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত সুধী সমাবেশে উপস্থিত হয়ে এই রেলসংযোগ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে দেশের মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের মানুষ প্রথমবারের মতো রেল যোগাযোগের আওতায় আসছে।