অবশেষে তিন কবুলের মাধ্যমে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হলেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কুবরা খান ও অভিনেতা গওহর রশিদ। বুধবার মক্কার পবিত্র কাবা শরিফে তারা এ প্রবিত্র কাজ সারেন।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) যৌথ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তারা তাদের বিয়ের সংবাদটি জানান। বিয়ের পাশাপাশি বর্তমানে তারা উমরাহ পালন করছেন।
ইনস্টাগ্রামের যৌথ পোস্টে তারা লিখেছেন, আল্লাহর কুরসির নিচে…৭০ হাজার ফেরেশতা সাক্ষী এবং রহমত আমাদের ওপর বৃষ্টির মতো বর্ষিত হচ্ছে… কবুল।
তাদের শেয়ার করা দুটি ছবির মধ্যে একটি ছিল পবিত্র কাবায় তাদের হাত রাখা, অন্যটি ছিল তারা একে অপরকে ভালোবাসার দৃষ্টিতে দেখছেন এবং পেছনে মহিমান্বিত কাবা ঘর।
কুবরা ও গওহর তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যে, তারা পবিত্র শহর মক্কাতে বিয়ে করবেন।
সম্প্রতি এই তারকা যুগল সবচেয়ে আলোচিত সেলিব্রিটিদের তালিকায় উঠে এসেছেন। এর শুরুটা হয় ২০২৪ সালের শেষের দিকে, যখন তাদের বিয়ে নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তারা তাদের দীর্ঘদিনের জল্পনা-কল্পনার সম্পর্কের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
গত মাসের শেষের দিকে কুবরা ও গওহর একটি কৌতুকপূর্ণ ও হৃদয়গ্রাহী ভিডিও বার্তায় তাদের বিয়ের খবরটি ঘোষণা করেন। আর এখন তাদের বিয়ের উদযাপন শুরু হলো। অনলাইন জগতে জনপ্রিয় এই যুগল তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের নিয়ে সোমবার কুবরার বান্ধবী মোমালের বাসায় উদযাপনে মেতে ওঠেন।
এদিকে ‘রাজ-এ-উলফাত’ খ্যাত অভিনেতা গওহর তার অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বিয়ের অনুষ্ঠানের কিছু ছবি শেয়ার করেছেন।
অভিনেতা এর ক্যাপশনে লিখেছেন, মাশাআল্লাহ… বিশাল ভালোবাসা এবং আলিঙ্গন।
পোস্টে তিনি মোমাল ও নাদের নওয়াজকে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের ‘উষ্ণ আয়োজন’র জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তখন শেয়ার করা ছবিগুলোতে কুবরা ও গওহরকে সাদামাটা ঐতিহ্যবাহী পোশাকে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, অভিনেতা গওহর তার সহকর্মী ও বন্ধু উষনা শাহের শো’তে বলেছিলেন, তিনি আর সিঙ্গেল নন। এরপর থেকেই কুবরাকে ঘিরে অভিনেতার সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জনের সূচনা হয়।
কুবরা এবং গওহর তাদের শেয়ার করা ছবি এবং উষ্ণ বন্ধুত্বের মাধ্যমে সম্পর্কটি সবসময়ই স্পষ্ট করেছিলেন; যা তাদের ভক্তরা অনেকদিন ধরেই লক্ষ্য করে প্রশংসা করেছেন।
এই তারকা যুগল একাধিক প্রকল্পে একসঙ্গে কাজ করেছেন, তবে ‘জান্নাত সে আগায়’ নাটকে দম্পতি হিসেবে দেখা যায় দুজনকে।
যদিও কিছু মানুষ তাদের সম্পর্ক নিয়ে নানা গুজব ছড়িয়েছে। তবে অনেকেই তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বকে চিরস্থায়ী বন্ধনেই দেখতে চেয়েছিলেন।
সূত্র: যুগান্তর