ঝিনাইদহের লম্পট ইমরান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পরকীয়ায় আবদ্ধ করে এক নারীকে। দুজনের মাঝে দীর্ঘদিন চলে আসছে এই সম্পর্ক। ইতোমধ্যে এক সন্তানের জননী হয়ে গেছে ঐ রমনী।
ঘটনাটি জানাজানি হলে ঐ মহিলার ঘর থেকে এলাকাবাসী দুজনকে আটকে রেখে পুলিশে দিলেও অজানা কারণে ছেলে পক্ষের তদবিরে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রাধানগর গ্রামে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, হরিণাকুণ্ডু উপজেলার রায়পাড়া ভাতুড়িয়া গ্রামের মৃত আলম মন্ডলের ছেলে ইমরান (২৮) নামের এক যুবক পাশাপাশি গ্রামের ঝিনাইদহ সদরের রাধানগর গ্রামের অতি দরিদ্র পরিবারের মর্জেম মন্ডলের মেয়ে আনজিরার (২২) সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলে।
আনজিরার ঘরে এখন ৪ মাসের একটি পূত্র সন্তান রয়েছে, তার পরেও ঐ লম্পট ইমরান আনজিরার পিছু ছাড়েনি।
অবশেষে গত ২৮ জানুয়ারী ইমরান আনজিরার ঘরে এলে এলাকার লোকজন টের পেয়ে দুজনকে ধরে মারধর করে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেয়। পরে স্থানীয় মাতবরদের সমঝোতায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এব্যাপারে ভুক্তভোগি আনজিরা বলেন, আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্ক করেছে। আমার স্বামীকে তালাক দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছে কিন্ত এখন ইমরান আর আমাকে বিয়ে করতে চায় না। আমার স্বামীও সন্তানের পরিচয় দিতে চাচ্ছে না। আমি একজন অসহায় নারী হিসেবে এই প্রতারক ইমরানের ঠিক বিচার চাই।
ডাকবাংলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিল্লাল হোসেন বলেন, আমরা তাদের চালান দিয়ে ছিলাম পরে কিভাবে জামিন নিয়েছে জানি না।