এক সপ্তাহ আগে স্বামী রাজকে নিয়ে পরীমনির একটা স্ট্যাটাস দেওয়ার পর থেকে এই দম্পতির সংসারে ভাঙনের সুর শোনা যাচ্ছে। এর দুদিন পর রাজের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার বিষয়ে ফেসবুকে ব্যাখ্যা দেন নায়িকা।
পরীমনি বসুন্ধরার বাসা থেকে বেরিয়ে গেলেও এখন আবার আছেন সেই বাসাতেই। কিন্তু রাজ থাকছেন আলাদা। সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজ নিজেই।
এ বিষয়ে রাজ বলেন, ‘পরীমনি সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যাপারে সরাসরি আমাকে কিছুই বলেনি, স্ট্যাটাস দিয়ে জাতিকে বলেছে। বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত আমি কিছুই জানি না। আমার সঙ্গে এ ব্যাপারে কোনো কথাও হয়নি। বাইরে বাইরে শুনছি, ফেসবুকে দেখছি।’
রাজের পক্ষ থেকে বিচ্ছেদের চিন্তা নেই। পরীমনি যদি বিচ্ছেদের চিন্তা করে থাকেন, তাহলে এ ব্যাপারে রাজের কিছুই করার নেই। রাজ বলেন, ‘সংসারে ঝগড়া, হাতাহাতি হয়। প্রতিটি সংসারে কিছু না কিছু ঝামেলা থাকে, আবার মিটেও যায়। কিন্তু বাড়ির খবর, ঘরের খবর এভাবে দেশবাসীকে জানিয়ে কোনো সমাধান কি হয়? নিজেরাই সমাধান করতে হয়। আমার পক্ষ থেকে বিচ্ছেদের কোনো বিষয় নাই। কিন্তু পরীমনি যদি চায়, তাহলে তো কিছু করার নাই। বিচ্ছেদ হয়ে যাবে আমাদের। তবে সম্পর্ক টিকে রাখার চেষ্টা করব আমি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিচ্ছেদের চিঠি দিলে নব্বই দিন সময় থাকে। সেই নব্বই দিনের মধ্যে কিছুদিন ধরে চেষ্টা করব ঠিকঠাক করার। যদি একান্তই না হয়, তাহলে যা হওয়ার তাই হবে। তবে আমি এখানে একটা কথা বলতে চাই- হয় তো আমাদের দুজনেরই দোষত্রুটি আছে। এক হাতে তো তালি বাজে না। পরী যে রক্ত মাখা বিছানার ছবি দিয়েছে, তাকে জিজ্ঞাসা করেন, কার রক্তের ছবি ওটি।’
কিন্তু আপনি তার গায়ে হাত তোলেন, সেটা তো সে স্ট্যাটাসে বলেছেন। এ ব্যাপারে কী বলবেন? রাজ বলেন, ‘কেউই ধোয়া তুলসি পাতা নয়, সহ্যের একটা সীমা আছে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মানুষ সামনে আগাতে চায়। এতটুকুই বললাম, আপনারা এখন বুঝে নেন।’
সূত্র: যুগান্তর