আলমডাঙ্গায় কথিত সাংবাদিক পরিচয়ে হারদি ইউনিয়নের শরিফুল ইসলাম আবারো পরকীয়া প্রেমিকার হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদি ইউনিয়নের ওসমানপুর গ্রামের মুন্তাজ মেম্বারের ছেলে শরিফুল ইসলাম। সে চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্থানীয় পত্রিকায় হারদি ইউনিয়ন প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করে।
এক বছর পূর্বে আরজুল্লাহর মেয়ে লাবণী খাতুনের সাথে শরিফুলের পোল্ট্রি খামারে রাতে অনৈতিক কাজের সময় স্থানীয়রা হাতে নাতে আটক করে শরিফুলকে। পরে স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশের হাতে তুলে দেয় এলাকাবাসী। এরপর এলাকার নেতাকর্মীদের মধ্যস্ততায় ২ লক্ষ টাকায় দেনমহরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় শরিফুল ও লাবণী।
একই এলাকার ওসমানপুর গ্রামের মহাসিন ওরফে গেঁজার মেয়ে ঝর্ণা খাতুনের গত ৫ মাস পূর্বে কুষ্টিয়া মিরপুর থানার মালিহাদ ইউনিয়নের মালিহাদ গ্রামের হযরত আলীর ছেলে লাল চাঁদের সাথে ১ লক্ষ টাকা দেন মহরে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। আবারো শরিফুল বিবাহের ১ বছর যেতে না যেতেই ঝর্ণা খাতুনের সাথে পরকীয়া প্রেমে হাবুডুবু খায়।
গত কয়েকদিন পূর্বে ঝর্ণা তার বাবার বাড়ি ওসমানপুরে বেড়াতে আসে। তার সাথে শরিফুলের পরকীয়া প্রেমের জের ধরে গতকাল শনিবার সকাল ১১ টার দিকে ঝর্ণাকে ফুসলিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ তুলেছে। শরিফুলের এই কুকর্ম নিয়ে ওসমানপুর গ্রামের চায়ের দোকানে ও পাড়া মহল্লায় সমালোচনার ঝড় ওঠেছে।
এলাকাবাসী দাবি করেন, বর্তমানে শরিফুলের পিতা হারদি ইউনিয়ন পরিষদের ওসমানপুর গ্রাম মেম্বার। জনপ্রতিনিধির ছেলে বিভিন্ন সময় অপকর্মের সাথে লিপ্ত থাকায় এলাকাবাসী মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানান।