গাংনীতে আড়ৎদারের কারসাজিতে পেঁয়াজে দাম নিয়ন্ত্রণে আসছেনা এমনটিই জানালেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক। তিনি বলেন আড়তদারদের এ কারসাজি আমরা যে কোন মুল্যে রুখে দেব।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে গাংনী সবজি বাজার মনিটরিং করার সময় অসাধু ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি সতর্ক করেন এবং বলেন, এর আগেও যারা পাইকারি ব্যবসায়ী তাদেরকে বেশি দামে পেঁয়াজ আমাদানি ও বাজারজাত না করার জন্য অনুরোধ করেন। তারপরও তারা আমার কথা না শুনে আবারও পেঁয়াজ সিন্ডিকেটের পায়তারা করছে। এ সুযোগটা তারা পেয়েছে যুবলীগের কাউন্সিলের কারণে ঢাকায় অবস্থান করার কারণে।
বাজার মনিটরিং এর আগে গাংনী বাজারে পেঁয়াজের দাম খুচরা বিক্রেতারা কেজি প্রতি ২শ’ ২০ থেকে ২শ’৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করছিল। চেয়ারম্যান এম এ খালেক মনিটরিংএ নামার সাথে সাথে দাম কমে কেজি প্রতি ২০ টাকা কমে ২শ’ টাকায় নেমে আসে। এসময় কিছু ব্যবসায়ী গাংনীর কাঁচা বাজারের মেসার্স সততা ভান্ডারের রশিদ দেখিয়ে বলেন ২শ’১০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ ক্রয় করে তা ২শ’ টাকা করে বিক্রয় করা আমাদের জন্য ক্ষতি। পরে আড়তদারদের নির্দেশে ২শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করা শুরু করে।
এম এ খালেক গাংনীর আড়তদার সততা ভান্ডারের মালিক সাহাদুলের কারসাজির বিষয়ে বলেন, এর আগেও ঐ ব্যবসায়ীর সাথে জানতে চাওয়া হয়েছিল তিনি কোন জায়গায় থেকে মালামাল আমদানি করেন। কিন্তু তিনি কোন চালান বা রশিদ দেখাতে পারেননি।
এম এ খালেক বলেন, দু’মাস আগে এলসি খুলে বাইরে থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ দেশে আমদানি করার পরও বেশি দামে কেন পেঁয়াজ বিক্রয় হবে। চেয়ারম্যান এম এ খালেক মনে করেন ব্যবসায়ী সাহাদুল অথবা এ ধরণের যারা ব্যবসায়ী তারা পেঁয়াজ মজুদ রেখে তা অল্প পরিমানে বাজার জাত করে কৃত্রিমভাবে পেঁয়াজের সংকট তৈরি করে এর দাম বাড়াচ্ছে।
তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন আজকের পর থেকে শুধু সাহাদুলই নয় কোন ব্যবসায়ী অসাধু পন্থা অবলম্বোন করে বাজার পণ্যের দাম বাড়িয়ে তোলেন তাহলে তাদের নাম সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এদিকে গাংনীবাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান বুলু ব্যবসায়ি সাহাদুলকে আরেকটি বার সতর্ক করে সুযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে তিনি বলেন, তাকে আমরাও সতর্ক করব এর পরও যদি তিনি বেশি দামে পেঁয়াজ আমাদানি বা বাজারজাত করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করাতে আমাদের কোন অনুরোধ থাকবে না।
-এ সিদ্দিকী শাহীন,গাংনী