স্ট্রোক মস্তিষ্কের একটি অসুখ। সাধারণত ইসকেমিক ও হেমোরেজিক এই দুই ধরনের স্ট্রোক হয়ে থাকে । স্ট্রোকের মধ্যে ইসকেমিক স্ট্রোকের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। মস্তিষ্কের রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমে যায়। ফলে মস্তিষ্কের কোষ নষ্ট হয়ে যায়। শুরুতে কোষগুলো রক্ত চলাচল কমে গেলেও বেঁচে থাকতে পারে। আস্তে আস্তে মস্তিষ্কের কোষগুলো অক্সিজেন পায় না। এর ফলে একজন ব্যক্তির প্যারালাইসিস হয়ে যায়। একেই স্ট্রোক বলা হয়।
তবে পানির অভাবে মানবদেহে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। ফলে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের পরিমাণে তারতম্য ঘটে। ফলে স্ট্রোক হতে পারে। তবে এর জন্য আর্টেরিয়াল স্ট্রোকের বদলে মূলত সেরিব্রাল ভেনাস স্ট্রোক হয়।
এছাড়াও অন্যকিছু কারণে স্ট্রোক হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, শরীরে পানি কমে গেলে রক্ত ঘন হয়ে যায়। রক্ত ঘন হয়ে গেলে ধীরে ধীরে চলাচল করে। এর ফলে রক্তচাপও কমে যায়। রক্তচাপ কমে গেলে রক্ত ঠিকমতো ব্রেনে পৌঁছাবে না। ফলে ব্রেনের সমস্যা হতে পারে।
শরীরে পানি কমে গেলে ব্রেনের উপরেও প্রভাব পড়ে। মস্তিষ্কের মধ্যে থাকা রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয়ে পড়ে ও রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে মস্তিষ্কের বেশ কিছু অংশে অক্সিজেন কমে যায়। যা স্ট্রোকের বড় কারণ। এদিক থেকেও ডিহাইড্রেশন প্রভাব ফেলতে পারে শরীরে।
পানিশূন্যতার লক্ষণ কী কী?
.মাথাব্যথা
.রক্তচাপ কমে যাওয়া
.ইউরিন ইনফেকশন
.কোষ্ঠকাঠিন্য
.দুর্বলতা
.ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া
.অস্থিসন্ধিতে ব্যথা
.ওজন বেড়ে যাওয়া
.কিডনির বিকল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি
পানিশূন্যতার ঝুঁকি এড়াতে
যদি ডিহাইড্রেশনের বিভিন্ন লক্ষণ যেমন- শুষ্ক মুখ, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা ও তৃষ্ণার্ত হওয়া অনুভব করেন তাহলে বারবার অল্প অল্প করে পানি পান করতে চেষ্টা করুন। এর সঙ্গে দিনে পর্যাপ্ত তরল পান করা উচিত যাতে আপনার প্রস্রাবের রং পরিষ্কার হয়। যদি বমি বা অতিরিক্ত ঘাম বা ডায়রিয়া হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পাশাপাশি তরল খাবার যেমন- স্যুপ, তাজা ফলের রস বেশি করে পান করুন।
সূত্র: ইত্তেফাক