করোনা সংকটের মধ্যেই নিত্য প্রয়োজনীয় পানি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাসিন্দারা। পৌরসভার সরবরাহ করা পানি পাচ্ছে না অনেক পৌরবাসী। এতে দেখা দিয়েছে সীমাহীন দূর্ভোগ। খাওয়ার জন্যও পানি পাচ্ছেন না অনেকেই। অনেককে পাশের কারো বাড়ি থেকে টিউবওয়েলের পানি এনে প্রয়োজন মেটাতে হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা সূত্র জানায়, গত ১০ এপ্রিল মাস্টারপাড়ার পানির পাম্পটি পুড়ে যায়। এর পর থেকে পৌর এলাকার মাস্টারপাড়া, শেখপাড়া, বাজারপাড়া, মল্লিকপাড়া, ফেরীঘাট রোড প্রভৃতি এলাকার মানুষ প্রয়োজনীয় পানি পাচ্ছে না। অন্য এলাকার পাম্প থেকে এসব এলাকায় পানি সরবরাহ করতে গিয়ে পুুরো পৌরএলাকার মানুষ এখন পড়েছেন পানি সংকটে।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় রয়েছে ৯টি পানির পাম্প। এর মধ্যে গত ১০ এপ্রিল থেকে মাস্টারপাড়ার পানির পাম্পটি পুরোপুরি অকেজো। বাকি আটটি পাম্পের মধ্যে অন্য চারটিও প্রায় অচল। ফলে চারটি দিয়ে কোনোরকমে পৌর এলাকায় পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এ অবস্থায় সব এলাকাতেই পর্যাপ্ত পানি পৌছাচ্ছে না।
চুয়াডাঙ্গা মাস্টারপাড়ার গৃববধু আকলিমা খাতুন জানান, শুনেছি আমাদের পাড়ার পাম্পটি পুড়ে গেছে। সকালে খুব সামান্য পানি আসে। দুপুরে, বিকেলে ও রাতে পানি পাওয়া যায়না। আমরা খুবই পানির কস্টে আছি।
চুয়াডাঙ্গা শেখপাড়ার মাবুদ সরকার বলেন, বেশিরভাগ মানুষ পৌরসভার সরবরাহ করা পানি ফিল্টার করে পান করে থাকে। করোনা ভাইরাসের কারণে বলা হচ্ছে, ঘন ঘন সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। পানি না পেলে মানুষ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে কি করে?
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী (পানি) এএসএম সাইদুর রশিদ জানান, ইদানিং বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজ দেখা দিয়েছে। লো-ভোল্টেজের কারণে গত ১০ এপ্রিল মাস্টারপাড়ার পাম্পটি পুড়ে গেছে। করোনাভাইরাসের কারণে সবকিছু বন্ধ থাকায় তা মেরামতেও দেরি হচ্ছে। বাকি যে আটটি পাম্প রয়েছে তা লো-ভোল্টেজের কারণে চালানো যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা ওজোপাডিকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ময়নুদ্দিন বলেন, ৩৩ কেভি বিদ্যুত পাওয়ার কথা। আমরা পাচ্ছি ২৫-২৬ কেভি। এতে লো-ভোল্টেজ হচ্ছে। এই সমস্যা আগে থেকেই রয়েছে।