মেহেরপুর পৌরসভার পানি শাখার পাম্প চালক হাফিজুল হক অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। কয়েক বছরে তিনি ৮টি জমি কিনেছেন যার দলিল মূল্যে ৬১ লাখ টাকা। কিন্তু বাজার মুল্যে হবে কয়েকগুন। পৌরসভার একজন কর্মচারী হিসেবে কিভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন, এ অর্থের উৎস কী এ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। সম্প্রতি জমি ক্রয় সংক্রান্ত বিবাদে তার বিরুদ্ধে মেহেরপুরের আদালতে নাদিম ইকবাল নামে একজন প্রতারণা মামলাও করেছেন।
হাফিজুল হক ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মেহেরপুর শহর সহ বিভিন্ন এলাকায় তাঁর ক্রয় কৃতজমির দলিলের তথ্য মেহেরপুর প্রতিদিনে এসেছে।
জমির দলিল অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, ৮টি দলিলের মধ্যে ৬টি দলিল তার নামে, একটি দলিল তাঁর স্ত্রী মার্জিয়া খাতুনের নামে আর একটি দলিল তাঁর ছেলে মাসুদ হাসানের নামে।
২০২০ সালের ১২ জুলাই মেহেরপুর শহরে প্রদীপ কুমার চন্দ্রের সাথে .০৬৬০ একর জমি ক্রয় করেন যার দলিল মূল্য ৫লাখ ৬৩ হাজার টাকায়, যার দলিল নম্বর-২৯৭১/২০২০, ২০২১ সালের ২২ আগষ্ট শহরের কমল চন্দ্রের সাথে .০৮২৫ একর জমি ক্রয় করেন যার দলিল মূল্য ৭ লাখ ৫ হাজার টাকা, যার দলিল নম্বর-৪২৫৮/২১, একই বছরের ৬ জুন শহরে নাহিদ সুলতানার সাথে তার স্ত্রী মার্জিয়া খাতুনের নামে .১০০০ একর জমি ক্রয় করেন, যার দলিল মূল্য ৬ লাখ টাকা, দলিল নম্বর ৩১২৭/২০২১, ২০২২ সালের ২২ মার্চ শহরের মবিন উদ্দিনের কাছে থেকে .১১৯৫ একর জমি ক্রয় করেন যার দলিল মূল্য ১০ লাখ টাকা, দলিল নম্বর-২৩৫৫/২০২২, একই বছরের ২৮ আগষ্ট চুয়াডাঙ্গার কুলপালায় আমেনা খান ও তার শরিরকদের কাছে থেকে নিজের নামে ১.৮৭৫২ ও .০৫০৩ একর পরিমাপের দুটি জমি ক্রয় করেন যার দলিল মূল্য ১৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা, যার দলিল নম্বর-৫৭৯২/২০২২ ও ৫৭৯৮/২০২২, একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর মেহেরপুর শহরে খন্দকার শফিউল কবীরের সাথে .০৭৬০ একর জমি ক্রয় করেন যার দলিল মূল্য ২ লাখ টাকা, দলিল নম্বর-৮০৬০/২০২২, এবং ২০২৩ সালের ১ আগষ্ট শহরে সাবিরা চৌধুরীর কাছে থেকে .০৮২৫ একর জমি ক্রয় করেন তার ছেলে মাসুদ হাসানের নামে যার দলিল মূল্য ১১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, দলিল নম্বর ৪৯৩৬/২০২৩।
অভিযুক্ত পৌরসভার পানিশাখার পাম্প চালক হাফিজুল ইসলাম মেহেরপুর প্রতিদিন কার্যালয়ে হাজির হয়ে বলেন, আমি জমির ব্যবসা করি। এই জমি নিজের নামে কিনে পরে বিক্রি করে দিই। তবে ব্যবসা করার কোন কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি। সময় নিয়ে দেখাতে চেয়েছিলেন তারপরও তিনি তার স্বপক্ষের কোন কাগজ দেখাতে পারেননি।