পিছিয়ে যাচ্ছে মেহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগসহ জেলার অন্যান্য ইউনিটের সম্মেলনের দিন। আওয়ামী লীগের কয়েকটি সূত্র থেকে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। পূর্ব নির্ধারিত ১৯ মার্চ মেহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ার কথা ছিলো। এছাড়া ২০ মার্চ গাংনী উপজেলা, ২১ মার্চ সদর উপজেলা ও ২২ মার্চ মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার দিন ধার্য রয়েছে। তবে মেহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগ ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে না তা প্রায়ই নিশ্চিত। গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে কী না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক সাংগঠনিক ভাবে এ বিভাগের দায়িত্ব পালন করছেন। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ১৯ মার্চ। ২১ মার্চ চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ওই দুই স্থানে তিনি উপস্থিত থাকবেন। ফলে পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনেকটা অনিশ্চিত।
আওয়ামী লীগের কয়েকটি সূত্র থেকে জানা গেছে, কোটচাঁদপুরের সম্মেলন শেষ করে সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেলহক সহ কেন্দ্রীয় নেতারা মেহেরপুরে আসবেন। রাতে মেহেরপুরের আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সম্মেলন পূর্বক জরুরী আলোচনায় বসবেন। আলোচনা শেষে নতুন করে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। আলোচনায় মেহেরপুরের বর্তমান রাজনৈতিক কোন্দল মেটানো, গ্রপিং মেটানোসহ দলকে সুসংগঠতি করার বিষয়েও আলোচনা হবে বলে শোনা যাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, সম্প্রতি মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সকল ইউনিটে প্রকাশ্যে কোন্দল, গ্রুপিংয়ের বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের নজরে গিয়েছে। যে কারণে কোন্দল ও গ্রুপিং মিটিয়ে যাতে দলকে সুসংগঠতি করা যায় সে লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় নেতারা জেলা নেতাদের সাথে বসবেন। ফলপ্রসু আলোচনা হলে নতুন করে সম্মেলনের দিন ঠিক করা হতে পারে।
এদিকে বারবার সম্মেলন পিছিয়ে যাওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা কাজ করছে। মেহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন বার বার পিছিয়ে যাওয়ায় ওই কমিটি ১৮ বছর ধরে চলছে। গাংনী উপজেলা কমিটির অবস্থায় একই রকম। সদর উপজেলা ও মুজিবনগর উপজেলা কমিটিরও মেয়ার শেষ হয়েছে অনেক আগে। ইউনিটগুলোর সম্মেলন না হলে পিছিয়ে যাবে জেলা কমিটির সম্মেলন। জেলা কমিটির মেয়াদ ৭বছর হতে চলেছে। সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা শুরু হয়েছে। বারবার পিছিয়ে গেলে সেই উৎসাহ উদ্দীপনা হািরয়ে যাবে। দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো গ্রুপিংয়ে পরিণত হবে। এমনটিই বলছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
মেহেরপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল জানান, ১৯ মার্চ রাতে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক মেহেরপুরে আসবেন এবং দলীয় নেতাদের সাথে বসবেন। তারপর সম্মেলনের নতুন তারিখ ঘোষণা করবেন। তবে এ মাসেই সম্মেলন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাড. মিয়াজান আলী জানান, পূর্ব নির্ধারিত দিনে মেহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য ইউনিটের সম্মেলন হচ্ছে না এটা প্রায় নিশ্চিত। তবে ১৯ মার্চ সাংগঠনিক সম্পাদক আসবেন এবং আমাদের সাথে বসবেন এমন কথা তিনি আমাকে জানিয়েছেন। দলকে সুসংগঠতি করার লক্ষ্যে তিনি সকল নেতাদের নিয়ে বসবেন। তারপর তিনি নতুন করে সম্মেলনের দিন নির্ধারণ করবেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকের সাঁথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভভ হয়নি।