মুজিবনগরের পর্যটন মোটেলের হলরুমে পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) গঠন শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাটি আয়োজন করা হয় দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশের মাল্টি-স্টেকহোল্ডার ইনিশিয়েটিভ (MIPS) প্রকল্পের অধীনে। মুজিবনগরের শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সম্প্রীতিপূর্ণ আচরণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে এই সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাবদার আলী। সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন মো. ওয়াজেদ আলি খান। সভাটি সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধান করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্টের ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মো. আশরাফুজ্জামান।
সভায় পিএফজি গঠনের প্রয়োজনীয়তা, গঠনতন্ত্র এবং কর্মপন্থা নিয়ে আলোচনা হয়। এই বিষয়ে বিশদ ব্যাখ্যা দেন দি হাঙ্গার প্রজেক্টের এরিয়া কো-অর্ডিনেটর এস.এম. রাজু জবেদ।
সভায় উপস্থিত উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহিনুজ্জামান, যুবদল সভাপতি মো. আবুল হাসান, জেলা মহিলা জাতীয়তাবাদী দলের সদস্য নুরজাহান খাতুন আনজিরা, মহিলা ইউপি মেম্বার আফরোজা রোজ, যুবদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মিলন, এপিপি এডভোকেট সেলিম গাজী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন প্রতিনিধি মো. খাইরুল বাশার, পেশ ইমাম হাফেজ মো. মতিয়ার রহমান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ, মুজিবনগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুন্সি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক হাসান মোস্তাফিজ, খ্রিষ্টান প্রতিনিধি মারিও সুশিত মন্ডল, সনাতন ধর্মের প্রতিনিধি শ্যামল কুমার, দলিত প্রতিনিধি মানু দাশ, শিক্ষক মুন্সি মো. মোকাদ্দেস হোসেন। এছাড়াও, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতা, শিক্ষাবিদ, এবং সুশীল সমাজের আরও প্রতিনিধিরা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় সবার সম্মতিক্রমে পিএফজি কো-অর্ডিনেটর নির্বাচিত হন ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ট সমাজ কর্মী মো: ওয়াজেদ আলি খান। পিস অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নির্বাচিত হন বিএনপির যুবদলের সভাপতি মো: আবুল হাসান, ইউপি মেম্বার আফরোজা রোজ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মো: খাইরুল বাশার এবং শিক্ষক মুন্সি মো: মোকাদ্দেস হোসেন।
সভায় উপস্থিত সকল প্রতিনিধি রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং জাতিগত সহিংসতা নিরসনে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। পিএফজি কমিটির মাধ্যমে মুজিবনগরের সাধারণ মানুষের সাথে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তোলারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
সভা শেষে সভাপতি মো. সাবদার আলী সবাইকে সম্প্রীতির মুজিবনগর গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দল-মত নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতায় শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গঠন সম্ভব। এই সভা মুজিবনগরের শান্তি স্থাপনে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।