বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ফখরুলকে উদ্যেশ্য করে বলেছেন, অর্থ পাচারের সাথে জড়িতদের তালিকা প্রকাশ করার কথা বলেছেন। মির্জা ফখরুল সাহেব আপনি কালো চশমা পরে বক্তব্য রাখছেন। বাংলাদেশের অর্থ পাচারের আসামী বিএনপি নেত্রী আপনাদের মা ও বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান তালিকায় এক নম্বরে আছেন। আওয়ামীলীগের কেউ অর্থ পাচার করলে শেখ হাসিনা কাউকে ছাড় দেননা। তার জলন্ত উদাহরণ ফরিদপুরে।
সোমবার (১৬ মে) দুপুরে মেহেরপুর শহীদ সামসুজ্জোহা পার্ক অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন কাদের।
তিনি রাজধানীর নিজ বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের এই ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে।
মির্জা ফখরুল হুশিয়ারী দিয়ে কাদের আরও বলেন, তথ্য প্রমান ছাড়া কোনো কথা বলবেননা। খুব বাড়াবাড়ি করছেন আপনি। প্রধান মন্ত্রীর নামটি উচ্ছারণেও সম্মানবোধ করেন না আপনী। প্রধান মন্ত্রী বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের কন্যা।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন পিকে হালদার আওয়ামী লীগ দলের কেউ না। দলে পিকে হালদারদের মত লোকের জায়গা হবে না।
তিনি সম্মেলনের দায়ীত্বশীলদের উদ্যেশ্যে তিনি বলেন, ত্যাগী ও দলের বিগত কমিটির অবহেলিত নেতা কর্মীদের জায়গা দিতে হবে। কোনো চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, অবৈধ অর্থ পাচারকারীদের পরিবর্তে ত্যাগী নেতাকর্মীদের দলের কমিটিতে রাখতে হবে। আওয়ামী লীগে অনেক ভাল লোক আছে। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে তাদের পদায়ন করতে হবে। বসন্তের কোকিলরা দুঃসময়ে থাকবে না। সুবিধাভোগীদের দুঃসময়ে হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে না। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাসিম এমপি।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বক্তা খুলনা বিভাগীয় আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক এমপি। বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য আমিনুল আলম এমপি, পারভীন জামান কল্পনা এমপি, গ্লোরিয়া ঝর্ণা এমপি, গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মেহেরপুর-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন।
হেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেকের সঞ্চালনায় সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সম্মেলনের সভাপতি মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দোদুল এমপি।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ক্ষমতা থেকে আওয়ামী লীগ নয়, বরং জনগণ মনে করে আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার দায়ে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির টপ টু বটম (বড়-ছোট সব) নেতাদের পদত্যাগ করা উচিত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের আলোয় বাংলাদেশ আজ আলোকিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। দেশের উন্নয়ন ও অর্জন বিএনপি চোখে দেখে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের চলমান উন্নয়ন-অর্জন ধরে রাখতে হলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামীতেও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা রাখতে হবে। দেশের গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচন ও আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে এখন থেকেই দলকে সুসংগঠিত ও স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।