পুলিশের সহযোগীতায় মেহেরপুরের বামন্দীতে সুদ ব্যবসায়ীর খপ্পর থেকে স্বাক্ষর করা স্ট্যাম্প ফিরে পেয়েছে শফিরুল ইসলাম নামের এক নির্মাণ শ্রমিক। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেলে বামন্দী বাজারে। এ সকল সুদ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছে এলাকার সাধারণ মানুষ।
গাংনী উপজেলার চরগোয়াল গ্রামের মন্ডল পাড়ার আঃ রহিমের ছেলে নির্মাণ শ্রমিক শফিরুল ইসলাম জানান, বিপদগ্রস্থ হয়ে দুই বছর আগে প্রতি মাসে লভ্যাংশ হিসেবে সাড়ে চার হাজার টাকার চুক্তিতে নিশিপুর গ্রামের মনার ছেলে বাবলুর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা গ্রহণ করি। টাকা গ্রহণের আগে একটি সাদা স্ট্যাম্পে কৌশলে স্বাক্ষর করে নেয় সুদ সুদ ব্যবসায়ী বাবলু।
সে অনুযায়ী প্রতি মাসে লাভের টাকা হিসেব করে ৯০ হাজার টাকা প্রদান করেন শফিরুল ইসলাম। সময়মত টাকা না দিতে পারায় প্রায় গালমন্দ সহ হুমকী ধামকী দিতে থাকে সুদ ব্যবসায়ী বাবলু।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ২০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে স্ট্যাম্প ফেরত দেওয়ার কথা বললে শফিরুল ইসলাম বাবলুকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে দেয়। কিন্তুু টাকা পাওয়ার পর স্ট্যাম্প ফেরত না দিয়ে আরো ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। নিরুপায় নির্মাণ শ্রমিক শরিফুল ইসলাম বাধ্য হয়ে স্থানীয় বামন্দী পুলিশ ক্যাম্পে মৌখিক ভাবে জানালে, ক্যাম্পে কর্মরত এ এস আই হেলাল স্থানীয়দের সাথে নিয়ে সুদ ব্যবসায়ীর কবলে থাকা স্ট্যাম্পটি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
এএসআই হেলাল জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে চরগোয়াল গ্রামের শফিরুল ইসলাম নিশিপুর গ্রামের মনার ছেলে বাবলুর কাছে তার স্বাক্ষর করা স্ট্যাম্প ফিরিয়ে দিচ্ছে না বলে মৌখিক ভাবে বলেন, সে অনুযায়ী বাবলুর কাছে থাকা স্ট্যাম্পটি ভুক্তভোগী শফিরুলকে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এসময় পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শফিরুল ইসলাম।