একসময় নারায়ণগঞ্জে ছিলেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। থাকতেন নগরীর কলেজ রোডের একটি বাসায়। এক বছর নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুলে পড়েছেন। সেই নারায়ণগঞ্জে এসে অনেকটাই স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
সেখানে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের সময় গানের তালে নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে নেচে তাদের উৎসাহও দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে আমলাপাড়া সার্বজনীন পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এসেছিলেন ফেরদৌস। এ সময় নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে তাকে নাচতে দেখা যায়। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তার সহপাঠী প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এসে ফেরদৌস বলেন, চাষাড়া এসেই আমি খুব ইমোশনাল হয়ে পড়েছি। আমি আমার সেই স্মৃতিতে চলে গিয়েছিলাম। আমার বিশ্বাসই হচ্ছিল না আমি আজকে নারায়ণগঞ্জ আসব। আমলাপাড়া নারায়ণগঞ্জের সে জায়গা, যেখানে আজ থেকে অনেক বছর আগে আসতাম। নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুলে এক বছর পড়েছি। এই জায়গাগুলো আমার ভীষণ পরিচিত।
তিনি আরও বলেন, দুর্ভাগ্যবশত নারায়ণগঞ্জ থেকে চলে যাওয়ার পর আর কোনো দিন এখানে আসা হয়নি। আজকে এই পূজায় এসে আমার ভীষণ আনন্দ লেগেছে।
ফেরদৌস বলেন, আমার অত্যন্ত প্রাণের এ শহর। আমার বেড়ে ওঠার সঙ্গে আজকে আমি ফেরদৌস হওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে এই শহর। কারণ শিল্প সংস্কৃতির দিক দিয়ে নারায়ণগঞ্জ অনেক ধনী। নারায়ণগঞ্জের মানুষ ভীষণ সংস্কৃতমনা। আমি নিজেও ছোটবেলায় বুঝতাম না হিন্দু, মুসলমানের কী তফাৎ। ঈদে আমার হিন্দু বন্ধুরা আমাদের বাড়িতে আসত পূজায় আমরা তাদের বাড়িতে যেতাম। আমরা বিশ্বাস করি ধর্ম যার যার উৎসব সবার।
এ সময় ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, আমি স্মরণ করছি আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা খান সাহেব ওসমান আলী, শামসুজ্জোহা সাহেব এবং আলী আহাম্মদ চুনকা সাহেব, যারা নারায়ণগঞ্জে সব সম্প্রদায়ের মানুষের একটি ঐতিহাসিক সহাবস্থানের তারা ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। আমি জেনেছি— আমলাপাড়ার এই পূজাটির বয়স একশ উনচল্লিশ বছর। অনেক দিনের সংস্কৃতি। আমি না এলে অত্যন্ত সুখকর ও আনন্দময় অভিজ্ঞতা মিস করতাম। এখানে আমি যে শৈল্পিক পূজার আয়োজন দেখলাম, এখানে অনেক নান্দনিকতা থাকে।
তিনি আরও বলেন, আজ বাংলাদেশকে সারা পৃথিবীতে উন্নয়নের রোল মডেল বলা হয়। আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সারা পৃথিবীর সামনে বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাবান জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সেই সঙ্গে তার হাত ধরে বাংলাদেশ সারা পৃথিবীতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।