মেহেরপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও গাংনী উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অশোকচন্দ্র বিশ্বাসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে গাংনী উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বী মন্দির কমিটির নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার বেলা ১১ টায় গাংনী বাসস্ট্যান্ডে এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন তারা।
সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কনফারেন্সে মেহেরপুর জেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজারীদের কটাক্ষ করে মিথ্যা বক্তব্য প্রদান এবং জেলা প্রশাসক কর্তৃক বরাদ্দকৃত অনুদানের বন্টনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও গাংনী উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অশোকচন্দ্র বিশ্বাসের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ ও বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে গাংনী উপজেলার ২২টি মন্দিরের বরাদ্দকৃত অনুদানের মালামাল অশোক চন্দ্র বিশ্বাস তুলে এনে উপজেলার ৯টি মন্দিরে না দিয়ে চরম অন্যায় করেছে।
অনুদান না পাওয়া ৯টি মন্দির হলো ষোলটাকা দাসপাড়া কালি মন্দির, ষোলটাকা কর্মকার পাড়া দুর্গা মন্দির, আমতৈল দাসপাড়া কালী মন্দির, মটমুড়া দুর্গা মন্দির, বেতবাড়িয়া দাসপাড়া কালী মন্দির, চৌগাছা দাসপাড়া কালি মন্দির, গাংনী দাসপাড়া কেন্দ্রীয় রাম মন্দির, গাংনী কেন্দ্রীয় মন্দির, বাওট দাসপাড়া কালী মন্দির। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা এসময় অশোকচন্দ্র বিশ্বাসের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি করেন।
গাংনী কেন্দ্রীয় মন্দিরের সভাপতি শ্রী সুশান্ত কুমার পাত্রের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতা শাহিদুজ্জামান শিপু। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাহার বাটি দাসপাড়া কালী মন্দিরের সভাপতি গণেশ দাস, মটমুড়া কালী মন্দিরের সভাপতি সুনীল চন্দ্র হালদার, কেন্দ্রীয় রাম মন্দিরের সভাপতি ধীরেন দাস, রায়পুর দাসপাড়া কালী মন্দিরের সভাপতি সুশান্ত চন্দ্র গোসাই প্রমুখ।
এ বিষয়ে মেহেরপুর জেলা পূজা উদযাপন আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব এবং গাংনী উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অশোক চন্দ্র বিশ্বাস মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, ‘ মন্দিরগুলোতে জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে সরাসরি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরপর দলিত শ্রেণীর আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট ২০ টি মন্দিরে জেলা প্রশাসকের দেওয়া অনুদান তালিকা অনুযায়ী মন্দির কর্তৃপক্ষ নিজেরাই উত্তোলন করেছেন।’
অশোক চন্দ্র বিশ্বাস আরো বলেন, ‘সুশান্ত কুমার পাত্র ও ধীরেন দাস সহ কয়েকজন জোটবদ্ধ হয়ে বিলুপ্ত হওয়া আগের কমিটির নেতাদের ইন্ধনে আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অপপ্রচারকারীরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের কৃতকর্মের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা না করলে, আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।’