মুজিবনগরে জমি নাই ঘর নাই বাঁশ তলায় বসবাস করা বৃদ্ধ মা ও তার প্রতিবন্ধী ছেলেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূনর্বাসন করে দেবার কথা থাকলেও ঘর তৈরি তো দূরের কথা।
পূনর্বাসন হিসাবে একটি সরকারী কম্বলও পাইনি অসহায় পরিবার। এমনকি অসহায় পরিবারের করুন কাহীনি দেখতেও যায়নি উপজেলা প্রশাসনের কেউই।
জানা গেছে, এ বছর শীতের শুরুতে মুজিবনগর উপজেলায় অসহায় ও দুস্থদের জন্য কম্বল বরাদ্ধ দেয় সরকার।
সেই কম্বল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাড়ি বাড়ি গিয়ে গরীবদের মাঝে বিতরণ করেছেন। কিন্তু একটি ডোবার পাশে বাশের মাঁচা ও উপরে বস্তা দিয়ে জরাজীর্ণ অবস্থায় ঘর বানিয়ে বসবাস করা সেই অসহায় পরিবারের ভাগ্যে জোটেনি একটিও কম্বল।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, আমাদের মনে হয় না এদের মত অসহায় ব্যাক্তি আর আছে কিনা। শুনেছি গরীবদের জন্য সরকার বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করে আসছে। কিন্তু আমাদের চোখের সামনে দুইজন মানুষ কত কষ্টে জীবন যাবন করছে তবুও এদের পাশে দাড়ানোর জন্য কেউ এগিয়ে আসছে না।
শুনেছি ইউএনও নাকি গরীবদের বাড়ি বাড়ি যেয়ে শীতের কম্বল দিয়ে আসছে। কিন্তু আমরা কোনদিন উপজেলা থেকে কোন মানুষকে এদের কাছে আসতেও দেখিনি।
উল্যেখ্য, গত ২ মাস আগে ঘর নেই জমি নেই, ডোবার পাশে জীর্ণ ঘরে স্থানে বৃদ্ধা মা ও প্রতিবন্ধী ছেলের বসবাস শীর্ষক অসহায় ব্যাক্তিদের নিয়ে মেহেরপুর প্রতিদিনসহ বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত নিউজে তুলে ধরা হয়, দুই ভাই নিজের সংসার ও একমাত্র বোন স্বামীর সংসার নিয়ে ব্যস্ত। ছোট ভাই খুদির সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসার খরচ মেটাতে গিয়ে নিঃস্ব হলেও প্রতিবন্ধী হয়ে জীবনাযাপন করছেন। অসহায় ভাই-বোনরা খোঁজ না নিলেও তাঁকে ছাড়তে পারেনি মমতাময়ী মা হালিমা খাতুন। ছেলের চিকিৎসার জন্য জমি জিরাত বিক্রি করেও ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে পারেননি অসহায় মা। প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে অবশেষে ঠাঁই হয়েছে একটি নোংরা ডোবার পাাশে।
নিচে বাঁশের মাঁচা ও উপরে বস্তা দিয়ে জীর্ণ ঘর বানিয়ে সেখানে বসবাস করছেন বৃদ্ধা মা ও ছেলে। অসহায় এ গল্পটি মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার নাজিরা কোনা গ্রামে। শায়েস্তা খাঁন নামের এক জনের করুণায় মা ও ছেলের ঠাই হয়েছে সেখানে। সরকারী ভাবে অসহায়দের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় পূনর্বাসন করা হচ্ছে। কিন্তু অসহায় এই বৃদ্ধা ও তার প্রতিবন্ধী ছেলের ভাগ্যে জোটেনি তেমন কিছুই। সমাজসেবা অধিদফতর কর্তিক বয়স্ক ভাতার কার্ডের টাকা ও প্রতিবেশিদের সাহায্যের টাকায় কোনরকম খেয়ে দেয়ে দিন কেটে যাচ্ছে তাদের।
মেপ্র/এমইএম