মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য বহুল আলোচিত কথিত শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
৮০ পাতার প্রস্তাবটি বাস্তবিক দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান হবে জানিয়ে আলোচনার ভিত্তিতে ইসরাইলও এতে একমত হয়েছে বলে তিনি জানান। খবর রয়টার্সের।
৮০ পৃষ্ঠার এ পরিকল্পনার ৫০ পৃষ্ঠাই ব্যয় করা হয়েছে রাজনৈতিক পরিকল্পনা উপস্থাপনের জন্য। পরিকল্পনার বাকি ৩০ পৃষ্ঠা গত বছরের জুলাইয়েই প্রকাশ করা হয়েছিল। যেখানে মূলত অর্থনৈতিক পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। মঙ্গলবার প্রকাশিত পরিকল্পনায় পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্পের প্রস্তাবে পশ্চিমতীরে ইসরাইলের দখলকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিনিময়ে চার বছরের জন্য ইসরা।ল দখলকৃত এলাকার সম্প্রসারণ বন্ধ রাখবে। এ সময়টিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলবে।
৫ হাজার কোটি ডলারের সেই পরিকল্পনাটি তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছিলেন ট্রাম্প জামাতা ও উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার।
হোয়াইট হাউসে দখলদার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, আজ শান্তির জন্য ইসরাইল এক বড় পদক্ষেপ নিয়েছে।
২০১৪ সালে ইসরাইল-ফিলিস্তিন আলোচনা কোনো মীমাংসা ছাড়াই বন্ধ হয়ে যায়। সেই আলোচনা নতুন করে আবার শুরু হবে কিনা, সে বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবে কিছু স্পষ্ট করা হয়নি।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ফিলিস্তিন প্রস্তাবটি নিয়ে সংশয়ী থাকবে, সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত। তবে ধীরে ধীরে তারা আলোচনার জন্য রাজি হবে।
একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে ফিলিস্তিনের যে দীর্ঘদিনের লড়াই, সে পথে এই পরিকল্পনা বেশ বড়সড় বাধা হয়েই সামনে এসেছে। নির্বাচন সামনে থাকায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বেশ চাপে রয়েছেন। পরিকল্পনায় ট্রাম্প প্রশাসন একটি সম্ভাব্য মানচিত্রও তুলে ধরেছে, যেখানে বর্তমানে ফিলিস্তিন নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের দ্বিগুণ এরিয়া ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে শুরুতেই আপত্তি জানিয়ে রেখেছে ফিলিস্তিন। আর হামাস সব ধরনের দখলদারি প্রতিরোধ করার ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছে।
সুত্র-যুগান্তর