মুজিবনগর উপজেলার শিবপুরে গত ৪ মার্চ দুপুরের দিকে গ্রামের সাইফুল ইসলাম ওরফে কালুর সাথে তার এক ভাইয়ের শিবপুর টেংরামারী বাইপাস সড়কের পাশে কৃষি জমিতে পেঁয়াজ কেনা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির সূত্র ধরে উভয়পক্ষের মধ্যেই এক ধরনের হাতাহাতি হয় উভয়পক্ষেই কম বেশি শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
কৃষি জমিতে সেই হাতাহাতি স্থানীয় ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে সাময়িক মীমাংসা হয়। মীমাংসা কারীদের মধ্যে ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম। এবং উভয় পক্ষকে তিনি ডেকে বলেন যে, ছোটখাটো বিষয়ে থানায় অভিযোগে না করে স্থানীয় ভাবে মীমাংসা করলে ভালো হয় কিন্তু সন্ধ্যা না হতেই দুই পক্ষই থানার দ্বারস্থ হয় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ নিয়ে।
মুজিবনগর থানায় পরদিন উভয়পক্ষ অভিযোগ করেন একে অপরের প্রতি দোষারোপ করে। কিন্তু ৭ মার্চ সাইফুল ইসলাম কালুর মা রুহুলা খাতুন (৪০) বাদী হয়ে মেহেরপুর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ চেষ্টার একটি মামলা দায়ের করেন। এবং এজাহারে থানার কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে মুজিবনগর থানা তাদের মামলা গ্রহণ না করে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।
তবে এ বিষয়ে রুহুলা খাতুনের অভিযোগের পক্ষের সাক্ষীগনের কথার মধ্যেও গোঁজামিল পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্রে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম বলেন, তাদের মাঠের হাতাহাতির বিষয়টি তিনি জানেন এবং আপোসের চেষ্টাও করেন কিন্তু ধর্ষণ চেষ্টা বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে মনে করেন।
স্থানীয় অন্য আরেকজন অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, এটি ব্যক্তিগত আক্রোশেরই প্রতিফলন।
ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা সচরাচর রাত বারোটা সাড়ে বারোটা পর্যন্ত রুহুলা খাতুনের বাড়ির পাশের আলমগীরের চায়ের দোকানে আড্ডা দিই। কিন্তু এই ধরনের কোন ঘটনা আমরা শুনিনি ও জানিনা।
তবে অভিযুক্ত জিনারুল গাজী নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ষড়যন্ত্র করে মামলা করা হয়েছে। তবে আদালত ও পিবিআই এর প্রতি আস্থা আছে আমার। তাই আমি বিশ্বাস করি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হব।