প্যারিস অলিম্পিকে পুরুষদের ১০ হাজার মিটার দৌড় ইভেন্টে চরম নাটকীয়তা দেখল বিশ্ব। যেখানে রোমাঞ্চ উপহার দিয়ে স্বর্ণ জিতেছেন উগান্ডার ২৭ বছর বয়সী অ্যাথলেট জোশুয়া চেপতেগেই। তার হাত ধরেই এবারের অলিম্পিকে প্রথম পদকের দেখা পেল উগান্ডা। তবে এই পদক জয়ের পেছনে রয়েছে মিশ্র অভিজ্ঞতা।
গত পরশু রাতে লড়াইয়ে নেমেছিলেন ১৩ অ্যাথলেট। সেখানে ইথিওপিয়া থেকে সেলেমন বারেগা, ইয়োমিফ কেজেলচা ও বেরিহু আরেগায়ি ছিলেন। এর মধ্যে বেরিহু আরেগায়ি তিন বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, গেলবারের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন। তিনিসহ দেশটির আরও দুই অ্যাথলেট দৌড়ানোর সময়ে কৌশল অবলম্বন করেছিলেন। শুরু থেকে বোঝা না গেলেও কিছুক্ষণ পরে সকলের সামনে সেটি পরিষ্কার হয়ে ওঠে। নিজেদের কৌশল নিয়ে আরেগায়ি বলেছেন, ‘আমরা দলগতভাবে একটা কৌশল গ্রহণ করেছিলাম। আমরা নিজেদের জায়গা ধরে রেখে বাকিদের পেছনে ফেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি দুঃখিত, আমরা স্বর্ণ জিততে পারলাম না।’
মূলত ইথিওপিয়ার এই তিন অ্যাথলেট চেয়েছিলেন, নিজেদের দেশকে স্বর্ণপদক এনে দিতে। এজন্য শুরু থেকেই ভাগ হয়ে কখনো একসঙ্গে দৌড়ে বাকিদের আলাদা রাখতে চেয়েছেন। যারা এগিয়ে যেতে চেয়েছেন তারা এই তিন জনের বাধার মুখে পড়েছেন। চেপতেগেই শুরু থেকেই সেটি বুঝতে পেরেছিলেন বেশির ভাগ সময় মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। শেষদিকে এসে আসল শক্তি দেখিয়ে দিয়েছেন। শেষের ৪০০ মিটার আগেও উগান্ডার এই দৌড়বিদ ছিলেন পেছনে। সেখান থেকে গতি বাড়িয়ে সবার আগে চলে আসেন। পেছন থেকে আরেগায়ি হাত দিয়ে ধরার চেষ্টা করেও পারেননি।
অন্যদিকে চেপতেগেইয়ের মতো ‘শেষ ভালো’ করে পদক তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রান্ট ফিশার। স্তাদে দে ফ্রান্সে চেপতেগেই ১০ হাজার মিটার দৌড় শেষ করেছেন ২৬ মিনিট ৪৩.১৪ সেকেন্ডে। অলিম্পিকের এই ইভেন্টে এটিই সবচেয়ে কম সময়ে দৌড় শেষ করার রেকর্ড। এর আগে রেকর্ড গড়েছিলেন ইথিওপিয়ার কেনেনিস বেকেলের। ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে তিনি ২৭ মিনিট ১.১৭ সেকেন্ড সময় নিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন পরে সেই আসন দখল করলেন চেপতেগেই। ২৬ মিনিট ৪৩.৪৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে রৌপ্য জিতেছেন আরেগায়ি। তার থেকে মাত্র ০.০২ সেকেন্ড বেশি সময় নিয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন ফিশার। এ দিকে ছেলেদের অ্যাথলেটিকসে ১০ হাজার মিটার ইভেন্টে বিশ্ব রেকর্ডও চেপতেগেইরই দখলে তিনি ২৬ মিনিট ১১ সেকেন্ড সময় নিয়ে দৌড় শেষ করেছিলেন।
সূত্র: ইত্তেফাক