রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে প্রবীণ প্রকৌশলী ম. ইনামুল হককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠলেও ওই কৃষকলীগ নেতার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংগঠনটি। সংগঠনটির জেলা সম্পাদক বলেছেন, প্রকৌশলীও ভুল করেছেন, কৃষক লীগ নেতাও ভুল করেছেন। প্রকৌশলী যদি জাতীর সামনে ক্ষমা চান, তাহলে কৃষকলীগ নেতাও ক্ষমা চাইবে।
লাঞ্ছিতকারী ওই ব্যক্তি হলেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের কৃষক লীগের সভাপতি বানি আমিন। তিনি বেতবাড়িয়া গ্রামের মৃত আফতাব আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা ছিলো। যা থেকে তিনি অব্যহতি পেয়েছেন।
লাঞ্ছিত করার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি সবার সামনে আসে। গত শনিবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
লাঞ্ছিত হওয়া ওই ব্যক্তি হলেন সর্বজন বিপ্লবী দলের আহ্বায়ক ম. ইনামুল হক। পেশায় তিনি নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরসহ বেশ কয়েকটি সরকারি সংস্থার সাবেক মহাপরিচলক ছিলেন। তিনি জানান, প্রতি শনিবার তিনি দলের পক্ষে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে প্রচারপত্র বিতরণসহ বিভিন্ন পথসভার আয়োজন করেন। ওই দিন আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে তিনি কোনো কর্মসূচি দেননি।
এ বিষয়ে বানি আমিন এর আগে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা গিয়েছিলেন। জাদুঘরের সামনে ওই ব্যক্তি আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে বিষোদগার করছিলেন দেখে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি এখন লজ্জিত। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গত মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
গাংনী উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আতিয়ার রহমান বলেন, দলীয় সভানেত্রী কটাক্ষ করে কথা বলায় বানি আমিন তা মেনে নিতে না পেরে থাপ্পড় দিয়েছেন। তবে এটা করা তার ঠিক হয়নি। তিনি কথা বলেই তার প্রতিবাদ করতে পারতেন। আমরা বানি আমিনকে বলেছি, এটা করা ঠিক হয়নি। তবে দলীয় কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দিনে বিএনপির মত দল ঢাকাতে কোন কর্মসূচী রাখেনি। কিন্তু ওই প্রকৌশলী সম্মেলনের অদূরে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে উস্কানি দিচ্ছিলেন। এ ঘটনায় বানি আমিন বয়স্ক মানুষকে থাপ্পড় মেরে ভুল করেছেন, ঠিক তেমনি তিনিও ভুল করেছেন। তিনি যদি জাতীর সামনে ক্ষমা চান, তাহলে বানি আমিনও ক্ষমা চাইবে।