মিথ্যা মামলা করে আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতি ও সাংবাদিকতায় বাঁধাগ্রস্থ করার কারণে মামলা থেকে অব্যহতি পেয়ে প্রকৌশলী তোহিদুল ইসলামের লিওনের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করলেন সাংবাদিক মাহাবুব চান্দু।
গত ২৭ নভেম্বর মেহেরপুরের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে তিনি এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ২৭ জানুয়ারি আসামিকে আদালতে হাজির হওয়ার সমন জারি করেছেন।
মাহাবুব চান্দু আইনজীবী নজরুল ইসলাম এসকল তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, মেহেরপুর প্রতিদির পত্রিকার অনুসন্ধানী সংবাদের খোজে ২০২৩ সালের ২৪ জুলায় দুপুর ১১টা ৫৩ মিনিট থেকে ১টা ১৬ মিনিট পর্যন্ত মেহেরপুর সরকারী মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে অনুসন্ধান মূলক সাংবাদিকতার কাজে নিয়োজিত থাকেন। বাদী তথ্যাদি সংগ্রহ করে তার অফিসে ফিরে আসেন এবং মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের মেডিকেল আফিসার ডাঃ রুমানা হেলালী এর বিরুদ্ধে গ্রহনকৃত সংবাদ ও তথ্যাদি মেহেরপুর প্রতিদিন সংবাদপত্রের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন কে অবহিত করেন। দুপুর অনুমান আড়াইটার দিকে ডাঃ রুমানা হেলালীর পিতা সাবেক মেয়র মুতাছিম বিল্লাহ মতু মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদককে মোবাইল ফোনে বাদী ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ভয়ভীতি ও মামলা করার হুমকি দেন।
তারপর ২৬ জুলা মোতিাছিম বিল্লাহ মতুর ছেলে মুত্তাকি বিল্লাহ শাফিন তাহার ফেসবুক আইডি আইডি দিয়ে মেহেরপুর সদর থানা বরাবর বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা চাদাবাজীর লিখিত অভিযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার করেন এবং কমেন্ট করেন যে “তুই যে ক্লিনিকে চাঁদা চাইতে এসে গনধোলাই এর ভয়ে তাড়া খেয়ে পালায় গেছিস সেটা বল, আসল সত্যতা মানুষ জানুক ” । সহ বিভিন্ন মান হানিকর মন্তব্য ও কমেন্ট করে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে ভাইরাল করে।
মোতাছিম বিল্লাহ মতু তার ফেসবুক আইডি দিয়ে অনিবন্ধিত অনলাইন পত্রিককা মেহেরপুর নিউজ.কম এর ফেসবুক পেজের মাধমে মাধ্যমে গত ইং ৩১/০৭/২০২৩ তারিখে লাইভে এসে বাদীকে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি লাইভ প্রোগ্রাম করে। মায়ের হাসি ক্লিনিকের ম্যানেজার সাইফুল বাহার স্বাধীন তার মায়ের হাসি ক্লিনিকের ম্যানেজার হিসাবে উক্ত ক্লিনিকের ফেসবুক আইডি দিয়ে মোত্তাকি বিল্লাহ শাফিন এর পোষ্টকৃত বাদীর মিথ্যা চাঁদা দাবির লিখিত অভিযোগ গত ইং ২৬/০৭/২০২৩ তারিখে প্রচার করে ভাইরাল করে। বিবাদী তৌহিদুল ইসলাম লিওন তাহার ফেসবুক আইডি থেকে মোত্তাকি বিল্লাহ শাফিন এর ফেসবুক পেজে কমেন্ট কওে বিবাদীর সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করেন।
বিবাদী বাদীর বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য অপপ্রচার কওে থেমে না থেকে সাংবাদিকতার পেশাকে কলুষিত ও মানহানি করিবার জন্য ইচ্ছাকৃত ভাবে ও পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাদী ও বিবাদীর বাড়ী মেহেরপুরে হওয়া সত্বেও শুধুমাত্র হয়রানী করার উদ্দেশ্যে বাদীর বিরুদ্ধে ঢাকাতে মামলা দায়ের করেন। যাতে প্রায় এক বৎসরেরও অধীক সময় বাদী ঢাকাতে যাতায়াত ও মামলা পরিচালনায় আর্থিক, মানষিক ও শারিরীক ক্ষতির সম্মুখিন হন। বাদি আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি সুসাংবাদিকতা যাতে কেউ আঘাত করতে না পারে সে কারণে আদালতের শরনাপন্ন হয়ে আসামি বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করেন।