বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার ওই পদে শপথ নেন জায়েদ খান। তবে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, শপথ নেওয়ার জন্য জায়েদের কাছে রায়ের কপি চেয়েছিলেন তিনি। তবে জায়েদ সর্বশেষ রায়ের কপি দেননি। দিয়েছিলেন ফেব্রুয়ারিতে হওয়া একটি রায়ের কপি। তাই তার শপথ বাতিল করা হলো। জায়েদ শপথ নেওয়ার পর যে বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন তাও বাতিল করা হলো।
সোমবার সন্ধ্যায় এফডিসিতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে জায়েদ ও অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারের মধ্যে আইনি লড়াই চলছে। ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, বিষয়টি চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন সহ সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক।
ইলিয়াস কাঞ্চনের অভিযোগের জবাবে জায়েদ খান বলেছেন, ‘আমি কোনোভাবেই প্রতারণার আশ্রয় নিইনি। নিয়ম অনুযায়ী রায় পাওয়ার পরে যে কেউ তার আইনজীবীর কাছ থেকে ল ইয়ার সার্টিফিকেট নিতে পারেন। আদালতের রায় হয়ে গেছে সবাই জানেন। আমি ল ইয়ার সার্টিফিকেটও জোগাড় করেছি। এটা বৈধ। আমি যদি ভুয়া কাগজ জোগাড় করে শপথ নিই, তাহলে নিপুণ কি ভুয়া কাগজ দেখিয়ে আপিল করলেন? রায় হয়েছে বলেই তো সেটার প্রমাণ দেখিয়ে আপিল করেছেন তিনি।’