প্রতারনার অভিযোগ এনে স্বামী স্ত্রীর বিরুদ্ধে আর ছেলে মায়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মতিয়ার রহমান ও নাসির হোসেন মুন্না।
বৃহস্পতিবার সকালে কোটচাঁদপুর পৌর শহরের দুধসরা বাসস্ট্যান্ডে এ সম্মেলন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাসির হোসেন মুন্না। তিনি বলেন , রাশেদা বেগম আমার মা,বোন আসমা খাতুন মুন্নি আর বোনাই মামুনুর রহমান। এরা সবাই লোভী, প্রতারক,ঠকবাজ চতুর ও পরসম্পদ হরনকারী।
মুন্না বলেন,আমার মা, আমার ও আমার পিতাকে প্রলোভন দেখিয়ে জমি আত্মসাতের নীল নকশা তৈরী করেন। এর সঙ্গে ছিলেন আমার বোন ও বোনাই। সেই নীল নকশায় পা দেন আমার পিতা। তিনি সরল বিশ্বাসে আমার নামীয় জমি কবলামূলে রেজিষ্ট্রি করে দেন। যা কোটচাঁদপুর মৌজায় অবস্থিত। এ জমির মধ্যে রয়েছে ভিটে বাড়ি ও মাঠ। সব মিলিয়ে ৭ বিঘা জমি তারা প্রতারনা করে রেজিষ্ট্রি করে নেন। এরপর থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে,তাদের প্রকৃত রুপ। জমি রেজিষ্ট্রি করে নেওয়ার কিছুিদিন পর, তারা যুক্তি করে আমার পিতাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এর প্রতিবাদ করায়, তারা আমাকেও বাড়ি থেকে বের করে দেন।
তিনি বোনাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন,সব ষড়যন্ত্রের মাস্টার মাইন্ড হচ্ছে মামুন। সে শুধু জমি লিখে নিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি। মামুন আমাকে আমেরিকা পাঠানোর নাম করে নগদ ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
স্ত্রী রাশেদা বেগম,মেয়ে ও জামাইয়ের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছেন স্বামী মতিয়ার রহমান। তারা বলেন, ওই প্রতারকদের প্রতারনার শিকার হয়ে আমি ও আমার পিতা বাড়ি,মাঠের জমি ও নগদ টাকা হারিয়েছি। এ সব হারিয়ে আমরা এখন অসহায়।আমরা এখন ভবঘুরের মত রাস্তায় ঘুরছি। তাই বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে সমাজের মানুষকে জানাতে চাই। কেউ যে এমন প্রতারনার ফাদে পা না দেন।
এ ব্যাপারে মতিয়ার রহমানের স্ত্রী রাশেদা বেগম বলেন, এ সম্পর্কে ভাল- মন্দ আমার কাছে কি শুনবেন। আপনারা কোটচাঁদপুরের মানুষ। তাদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। তাহলে বুঝতে পারবেন,তারা কোন চরিত্রের মানুষ।