খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস গ্রামের মানুষদের মধ্যে একটু আধটু থেকে গেলেও, শহুরে লোকেরা এ কথা ভাবতেও পারেন না। ইঁট-পাথরের তৈরি শহরের শক্ত মাটিতে অবশ্য তা সম্ভবও নয়। অথচ শিশির ভেজা নরম তাজা ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাঁটা যে কতটা উপকারী, তা অনেকেই হয়তো জানেন না। অনিদ্রা ও উদ্বেগ দূর তো হয়ই, রোজ নিয়ম করে খালি পায়ে হাঁটতে শুরু করলে আরও অনেক উপকার পাবেন।
খালি পায়ে হাঁটার উপকারিতা
নেগেটিভ ইলেকট্রন শোষণ
খালি পায়ে ঘাসের ওপর হাঁটলে পা সরাসরি মাটি স্পর্শ করে। মাটি দেহ থেকে সরাসরি নেগেটিভ ইলেকট্রন শোষণ করে। এটি অভ্যন্তরীণ বায়োইলেক্ট্রিক্যাল পরিবেশের ভারসাম্যতা সৃষ্টি করতে সাহায্য করে। এর ফলে শরীরে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। মেধার বিকাশ ঘটে।
কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি
আমাদের শরীরের ৭০ শতাংশ জল। তাই শরীর যত বেশি মাটির সংস্পর্শে আসবে ততই কর্মক্ষমতা বাড়াবে। খালি পায়ে হাঁটা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত এবং শরীরকে শিথিল করবে।
পেশি এবং পায়ের আরাম
হঠাৎ করে শরীরচর্চা বা কোনো ভারি কাজ করার ফলে শরীরে ব্যথা হয় বা পেশিতে টান লাগে। গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পায়ে কিছুক্ষণ হাঁটলে সেই ব্যথা অনেকটা কমে যায়। হিল দেওয়া বা অসমতল জুতো শারীরিক গড়নে যেমন প্রভাব ফেলে, তেমনই ঘাড়, পিঠ, কোমর, গোড়ালি কিংবা হাঁটু ব্যথায় কষ্ট দেয়। খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস পা-কে আরাম দেয় এবং পাতা, গোড়ালি এবং পায়ের আঙ্গুল শক্তিশালী করে তোলে।
মানসিক অবসাদে স্বস্তি এবং অনিদ্রা দূর
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়ম করে খালি পায়ে হাঁটেন তাদের মানসিক অবসাদ অনেক কম হয়। কমে উদ্বেগও। খালি পায়ে হাঁটলে বা মাটির সংস্পর্শে থাকলে খুব ভালো ঘুম হয়। তাই অনিদ্রায় কষ্ট পেলে রোজ ভোরবেলায় খালি পায়ে ঘাসের ওপর হাঁটুন। শান্তির ঘুম হবে।
নিয়ন্ত্রণে মাইগ্রেন
ক্ষতিকারণ রশ্মির প্রভাবে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে। খালি পায়ে হাঁটলে মাটির স্পর্শে ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাব থেকে দেহ অনেকটা মুক্তি পায়। মাইগ্রেনের মাথা ব্যথায় আরাম মেলে।
রক্তের খেয়াল
খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস রক্তে শ্বেতকণিকার পরিমাণ কমিয়ে লোহিতকণিকার পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে কোষের রক্ত জমাট বাধা প্রতিহত হয় যা রক্তের ঘনত্ব কমে। কমে হৃদরোগের ঝুঁকিও।
সূত্র: যুগান্তর