ঝিনাইদহ শহরের সবার পরিচিত মানসিক প্রতিবন্ধী ইঞ্জিলের পরিবার এখন বড়ই অসহায়, ফেইস বুকে এমন একটা পোস্ট দেখে সহযোগীতার হাত বাড়াতে এগিয়ে এলেন আরিফা ইয়াসমিন লিম্পা।
তিনি জানান, হঠাৎ একদিন ফেইসবুক থেকে জানলাম “ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৪নং ঘাড়শাল ইউনিয়নের ঘোড়শাল মধ্যপাড়া জামে মসজিদের পাশেই মো: আতিয়ার রহমানের একমাত্র মাথা গোঁজার ছোট্ট কুড়ে ঘরটি আর নেই। আকস্মিক ভাবেই ভেঙ্গে গেছে ঘরটি।
অভাবের তাড়নায় সম্ভব হচ্ছেনা নতুন একটি ঘর তোলার। আতিয়ার রহমানের বড় ছেলে মানসিক রোগি ইঞ্জিল, ছোট ছেলে আজিজুর রহমান সহ পরিবারের ৪ জন সদস্য নিয়ে দৈনিক জীবন সংগ্রামে কোন রকম বেঁচে আছে এ পরিবারটি। করোনা কালীন সময়ে খুবই সংকটাপন্ন অবস্থায় এখন পরিবারটি।
তিনি বলেন, ভাবলাম এসব কাজে অনেক লোক এগিয়ে আসবে কয়েকদিনের মধ্যেই হয়তো তাদের ঘর হয়ে যাবে। কিন্তু কিছুদিন পরও দেখি সেটা হয়নি, ১৫ কি.মি পাড়ি দিয়ে দেখতে গেলাম ঐ গ্রামে। যেয়ে দেখলাম পরিবারটি আসলেই খুব কষ্টে দিনযাপন করছে। গ্রামের সবাই বলেছে ওদের মতো অসহায় ঐ গ্রামে আর কোন পরিবার নেই।
বাসাই ফিরে এসে আমার প্রানের সংগঠন ’৯৯ ব্যাচের বন্ধুদের স্বরন করি। প্রথম থেকেই খুব হতাশ ভাবছিলাম পারবোতো? আল্লাহর কৃপায় একটি ঘর করার জন্য গত ৮অক্টোবর ঢেউটিন আর নগদ কিছু টাকা দিতে পারলাম। আমি আবারো আমার ৯৯ ব্যাচের যে কইজন বন্ধু এগিয়ে এসেছে এবং আমাকে কাজটি করতে সহোযোগিতা করেছে তাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।
লিম্পা আরও বলেন, আমি ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব সাইদুল করিম মিন্টু ভাই এর হাত দিয়ে তাদেরকে সহোযোগিতা করতে পেরে বেজায় খুশি। তিনি মেয়র মহোদয়কে বলেন, ঐ এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বরদের একটু বলতে। তারা যেনো চোখ বন্ধ করে না থেকে এমন অসহায় পরিবারের দিকে একটু সহোযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।
এ প্রসঙ্গে মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু লিম্পাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং সমাজের বিত্তবানদের এ ধরণের সহযোগীতা মূলক কাজে এগিয়ে আসার আহবান জানান।