মেহেরপুর শহর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নানা মাত্রিক কর্মসূচী বিষয়ক বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। বর্ধিত সভায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন এমপিকে অবাঞ্চিত করার হুঁশিয়ারিসহ তার বিরুদ্ধে বিষেদাগারমুলক বক্তব্য প্রদান করেন আওয়ামী লীগ নেতৃবন্দরা। একই সঙ্গে মেহেরপুর জেলা প্রশাসককে কালা জাহাঙ্গীর আখ্যা দিয়ে তাঁকে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করার আহবান জানান।
গতকাল বুধবার বিকালে মেহেরপুর কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে এ বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ বর্ধিত সভায় বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রসুল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাড. মিয়াজান আলী, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য আশকার আলী, মেহেরপুর পৌর মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন, সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা লাভলি ইয়াসমিন।
সভাপতির বক্তব্যে মেহেরপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘মন্ত্রী যখন আসেন তার দুই দিন আগে থেকে সার্কিট হাউজে বাজার বসে। বিভিন্ন জেলার ডিসি, এডিসিরা আসেন মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে। তদবিরের জন্য আসেন। জেলা প্রশাসককে উদ্দেশ্যে করে আমাকে এক পুলিশ সুপার বলেছিলেন মেহেরপুরে তো একজন কালা জাহাঙ্গীর আছে। তিনি সারাদেশে ঠিকাদার হয়ে গেছেন। মেহেরপুরে একটা দুর্নীতিবাজ তৈরি হয়েছে।’
অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম বলেন, আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর দেখি ভৈরবে মাটি লুট হয়ে যাচ্ছে। আমি ডিসিকে ফোন করে বললাম। তিনি বললেন ভৈরবের পাশে রাস্তা হবে। আমি বললাম টেন্ডার কোথায়। উনি বললেন টেন্ডার হয়নি। তাহলে ওয়াকশন কবে হলো। টেন্ডার ওয়াকশন ছাড়া ভৈরবের হাজার হাজার হেক্টর জমির মাটি বিক্রি হয়ে গেলো। সেই মাটি দিয়ে বিশাল একটি বান্দরবান (পাহাড় ) হয়ে গেছে একটি ভাটায়। সেই ভাটা আজও সিলগালা হয়নি।
ইয়ারুল ইসলাম আরো বলেন, যাদের একটা মোটরসাইকেলও ছিলনা। এখন তাদের চারটি গাড়ি, বাড়ি। কোথায় পেলেন, আলাদিনের চেরাগ পেলেন নাকি। মন্ত্রীর ভাইয়ের ওষুধের দোকান ছিল, বেচাকেনা হতো না। আজকে সমস্ত ঠিকাদারি কাজ, সমস্ত ব্যবসা তাদের। আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিয়ে চেয়ারে বসার আগেই ১৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতির মাধ্যমে এসব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেহেরপুর পৌরসভার উন্নয়নে বাজেট দিয়েছেন। সেই উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করছেন মন্ত্রী। গাছের চেয়ে কঞ্চি হয়ে বড় হয়ে গেলে যা হয়।
আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে ইয়ারুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের স্বার্থের পরিপন্থি, মেহেরপুর পৌরসভার স্বার্থের পরিপন্থি, জেলার স্বার্থের পরিপন্থি কোন কর্মকান্ড মেহেরপুরে হবে না। আমি মেয়রকে বলেছি আবার যদি তদন্ত টিম আসে আর পৌরসভায় আসার দরকার নাই। ওই পৌরসভার প্রবেশমুখ থেকেই বিদায় দিয়ে দেব। জনপ্রতিনিধিকে মূল্যায়ন করা হয় না। জনপ্রতিনিধিকে বাদ দিয়ে যদি কোন জেলা প্রশাসক হোক সে কালা জাহাঙ্গির হোক আর যেই হোক। আজ আমরা প্রতিবাদ করছি এরপরে প্রতিরোধ হবে।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রসুল বলেন, মেহেরপুরে যখন বিএনপির অস্ত্রের মুখে আওয়ামী লীগের মাথা গোজার ঠাঁই ছিলনা। তখন আমার অফিসকে আওয়ামী লীগের অফিস বানিয়ে ছিলাম। আমার অফিসে বোমা মারা হয়েছে, আমরা মার খেয়েছি। কারণ আমাকে শেষ করা হলে নাকি আওয়ামী লীগ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু আজ আমরা আওয়ামী লীগের বাইরে। এখন কোন মিটিং মিছিল হলে, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির এক পাশে থাকে ডিসি আরেক পাশে থাকে এসপি। সেই সাথে কিছু হাইব্রিড নেতাদের নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন। আজ যারা ফরহাদ হোসেনের সাথে থাকে তাদের রাজনীতির ব্যাকগ্রাউন্ড খোজ নিয়ে দেখেন। সবাই বিএনপি জামাত পরিবারের।
ফরহাদ হোসেনের উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যান বলেন, আপনি ভোটের সময় অনেক কথা বলেছিলেন, আর এখন বলেন, এইসব কথা ভোটের সময় বলতে হয়। আমার কোন নেতা কর্মির কোন প্রয়োজন নেই। একদিকে আমি থাকবো আরেক দিকে এসপি থাকবে। এটাই তার চরিত্র।
আজ যারা মন্ত্রীর আত্মিয় হয়েছেন তারা কোনদিন জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে দেখেননি। এমনকি মন্ত্রীও কোন দিন স্লোগান দেন নাই। মেহেরপুরের রাজনীতিকে বাচাতে আমরা যেমন ২০০১সালে বিএনপি-জামাত বিরোধী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম ঠিক সেইভাবে মন্ত্রী বিরোধী প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।
আপনারা দেখেছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একপাশে ডিসি, একপাশে এসপি মাঝখানে এমপি। উনার নাকি নেতাকর্মী লাগবে না। ডিসি আর এসপি থাকলেই হবে। সাংবাদিকদের উদ্দ্যেশে গোলাম রসুল বলেন আপনারা এগুলো লেখেন। মানুষকে জানান।
তিনি বলেন, জেলা পরিষদে প্রতিবছর এডিবির বাজেট আসে। আমার কাছে থেকে প্রতিমন্ত্রী ২ কোটি টাকা ভাগ চেয়েছিলেন। আমি বলেছি ২ লাখ টাকাও দিতে পারবো না। প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম আপনার এমপিরা ভাগ চায়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কোন এমপিকে ভাগ দেবেন না। তাতে যদি টাকা না আসে প্রধানমন্ত্রীকে জানাবো।
মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, ১৫ কোটি টাকা ঋনের বোঝা মাথায় নিয়ে মেয়রের আসনে বসেছি। সেগুলো কাটিয়ে উঠে পৌরবাসীর কল্যানে যখন পৌরসভার উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে তখনি বাধা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কায়দা কৌশল করছেন প্রতিমন্ত্রী।
সুষ্ঠ সুন্দর সচ্ছ কাজ করার পরও প্রতিনিয়ত মন্ত্রীত্বের ক্ষমতা ব্যবহার করে আমাকে হেনস্ত করার চেষ্ট করছে। প্রতিমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি যখন নৌকার নমিনেশন নিয়ে মেহেরপুরে এসেছিলেন তখন আপনার পাশে কোন নেতা কর্মি ছিল না। আমরা যুবলীগ যখন মাঠে নামি তখনি আপনার জয় নিশ্চিত হয়। আজ আপনি মন্ত্রী হয়েছেন বলে আমাদের আওয়ামী লীগ থেকে বঞ্চিত করতে পারবেন না।
মেহেরপুরের মানুষ যখন বিরক্ত হয়ে যাবে তখন পালাবার পথ পাবেন না। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন আমরা সেভাবেই পথ চলবো। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে নিয়ে লড়াই করে যাবো।
মেয়র বলেন, ভিতরে ভিতরে অনেক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কিছুদিন আগে মেহেরপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় জেলা প্রশাসককে প্রধান অতিথি এবং আমাকে বিশেষ অতিথি করায় প্রধান শিক্ষিকা তিরস্কার করে তাঁকে এখান থেকে বদলি করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যুবলীগকে নিয়ে নানারকম কুরুচীপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। আজ তার ভাইকে সেই যুবলীগের রাজনীতিতে আনার চেষ্টা করছেন। আপনারা স্বার্থক। আমরা সফল রাজণীতি করে আসছি। আজ পৌরসভার বিভিন্ন ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। উপস্থিত নেতকর্মীদের উদ্দ্যেশে তিনি বলেন, আপনাদের সকলকে সাথে নিয়ে এসকল ষড়যন্ত্রর জবাব দেওয়া হবে।
জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক অ্যাড. মিয়াজান আলী বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করি। আমরা কারও চামচামির রাজনীতি করি না। মেহেরপুরের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকেন ইনশাহআল্লাহ আপনাদের বিজয় হবেই।
মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন, নৌকা মার্কা নির্বাচিত হওয়ার পরও নৌকার নিবেদিত প্রাণ দু:সময়ের রাজপথ কাপানো নেতাদের মুখ আজ মলিন। মেহেরপুরের আওয়ামী লীগের ইতিহাস এখন মিথ্যা ইতিহাস। আমরা মন্ত্রী পেয়েছি, মেহেরপুরের মানুষ হাসবে অথচ মেহেরপুরের মানুষ আজ কাঁদছে, আওয়ামী লীগ কাঁদছে। এইতো সেদিনকার কথা শহর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিল হচ্ছিলো। কেন্দ্রিয় নেতাদের সাথে যোগসাজশ করে শহর আওয়ামী লীগের কাউন্সিল বন্ধ করে দেয়। সেখানেও তিনি একটি করে ভাগ চাই। আওয়ামী লীগ কি ভাগের রাজনীতী হয়ে গেছে, আমরা কি বিভক্ত রাজনীতি করি? আগামী ৬ মার্চের মধ্যে মেহেরপুর, গাংনী, মুজিবনগরে কাউন্সিল হতে পারে। সেখানে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটবে নেতা কর্মিদের মধ্য থেকেই।
উনি একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, মেহেরপুর শহরকে প্যারিস বানাবো। আমাদের গর্বে বুক ভরে গেলো। আমাদের মন্ত্রী শহরকে উন্নত করবেন। কিন্তু আজ তিনি পৌরসভার উন্নয়ন কাজকে বাধা দিচ্ছেন। বারবার তদন্ত কমিটি পাঠাচ্ছেন। উনি বলেন তাঁর বাবা নাকি জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। কিন্তু তার নানাও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তাহলে উনার পিতা কিভাবে প্রতিষ্ঠিত সভাপতি হলেন।
তিনি বিভিণ্ন স্থানে বলে বেরাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু নাকি মেহেরপুরে দুই বার এসেছিলেন। তার বাড়িতে এসে খেয়েছেন। বঙ্গবন্ধু মেহেরপুরে একবারই এসেেেছন।
তিনি আরো বলেন, তার বাবা ছহিউদ্দিন নাকি ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে ছিলেন। কিন্তু ওই সময় তিনি আমাদের সাথে বেতাই ক্যাম্পে ছিলেন।
আগামি ৬ মার্চের মধ্যে মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন সংগঠনের কাউন্সিল হবে। আপনি ঘরে বসে ছাত্রলীগের কমিটি দিচ্ছেন। এগুলো বন্ধ করেন। আগামীতে সকল কাউন্সিলে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হবে। যদি আপনি প্রকিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন তাহলে আপনাকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করতে বাধ্য হতে হবে।
আগামীতে আপনিও যদি আওয়ামী লীগের সভাপতি না থাকেন সেটাও মেনে নিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে হবে। আজ যদি আপনার মন্ত্রীত্ব শেখ হাসিনা কেড়ে নেয় কি করবেন তখন। আপনার ভাই আপনার বাড়িতে বসে গণফোরাম গঠন করেছিলেন।
আগামী কাউন্সিল হবে নেতৃত্বের বিকাশ হবে। আওয়ামী লীগের দুরবস্থা দুর হবে। আগামি দিনে ওই পেতাত্মার হাত থেকে আওয়ামী লীগকে রক্ষা করতে হবে।
শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ করি। ২০১৪ সালে এই এমপির জন্য ১০ মিনিট করে বুঝিয়ে আমরা ভোট চেয়েছে। ২০১৮ সালে আমরা আবার যখন ভোট চাইতে গিয়েছি আর বোঝাতে পারিনাই। আবার সেই এমপি। আজ আপনি এমপি হয়েছেন, মন্ত্রী হয়েছেন। আমাদের কোন অসুবিধা নাই। কিন্তু যাদের কারণে আপনি আজ এখানে তাদেরকে মুল্যায়ন করতে হবে। আজ আপনি মন্ত্রী হয়ে নৌকার মেয়রকে, নৌকার উপজেলা চেয়ার্যম্যানকে, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন কাজে বাধা দিচ্ছেন। জেলা প্রশাসককে দায়িত্ব দিয়েছেন। জেলা প্রশাসক আজ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে গেছেন। ডিসি সাহেব আপনি সরকারি কর্মকর্তা। আপনি নিরপেক্ষ থাকবেন।
মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশানের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মেহেরপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আশরাফ রাজিভ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাফুয়ান আহমেদ রুপক, জেলা যুবলীগের সদস্য মিজানুর রহমান জনি, জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহফিজুর রহমান পোলেন, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল হোসেন, মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি জুলফিকার আলী, আবু মোর্শেদ মোহন শোভন, কুদরত ই খুদা রুবেল, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শতশত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও মহিলা কর্মীরা অংশগ্রহণ করেছেন।
মেপ্র/ইএম