মেহেরপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এর নিজস্ব অর্থায়নে ও সরকারি ভাবে মুজিবনগর উপজেলায় প্রায় ১১ হাজার কর্মহীন পরিবার পেয়েছে ত্রাণ সহায়তা।
পর্যায়ক্রমে মেহেরপুর সদর ও গাংনী উপজেলাতেও প্রতিমন্ত্রীর ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে যাবে বলে নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক আতাউল গনি।
মেহেরপুরে এক মাস অতিবাহিত হয়েছে অঘোষিত লক ডাউন। যা এখনো চলামান। জেলা প্রশাসন থেকে জানা যায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত লক ডাউন চলমান থাকবে।
এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে প্রায় অধিকাংশ পরিবার। ইতিমধ্যে কর্মহীন প্রায় ৫৩ হাজার ৪শ ৫৫টি পরিবার পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ সহায়তা। এর পাশাপাশি শুধু মুজিবনগরেই প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এর নিজস্ব অর্থায়নে ১১হাজার পরিবার কে দেওয়া হয়েছে খাদ্য উপহার।
এছাড়াও লক ডাউন এর প্রথম দিকে মেহেরপুর জেলার ৪হাজার ৫শ পরিবারের মাঝে পৌঁছে দেওয়া হয় প্রতিমন্ত্রীর ত্রাণ সহায়তা।
মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী
করোনা ভাইরাসের কারণে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত
১। প্রথম পর্যায়: ১০০০টি পরিবার- চা দোকানদার ও সেলুনকর্মী পরিবার প্রতি- ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ২ কেজি পেয়াজ, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি তেল, লবন ১ কেজি।
২। দ্বিতীয় পর্যায়: ৫০০ দুস্থ পরিবার প্রতি- ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ৫০০ গ্রাম ডাল, ৫০০ মিলি তেল।
৩। তৃতীয় পর্যায়: ৮০০ পরিবার- ভ্যান, অটো, আলগামন, পাখিভ্যান, নসিমন ইত্যাদি পরিবার পরিবার প্রতি ১৫ কেজি করে চাল।
৪। চতুর্থ পর্যায়: ৭৫ পরিবার- বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার প্রতি ১৫ কেজি করে চাল।
৫। পঞ্চম পর্যায়: ২০০ পরিবার- ভ্যান, অটো, আলগামন, পাখিভ্যান, নসিমন ইত্যাদি পরিবার প্রতি ১৫ কেজি করে চাল।
৬। ষষ্ঠ পর্যায়: ৮০০ দুস্থ পরিবার প্রতি- ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ৫০০ গ্রাম ডাল, ৫০০ মিলি তেল।
৭। সপ্তম পর্যায়: ৪০০ পরিবার- মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স কেন্দ্রিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ভ্যান চালকদের পরিবার প্রতি ১৫ কেজি করে চাল।
৮। অষ্টম পর্যায়: ১২০০ পরিবার- ভ্যান, অটো, আলগামন, পাখিভ্যান, নসিমন ইত্যাদি পরিবার প্রতি ১৫ কেজি করে চাল।
৯। নবম পর্যায়: ১০০০ পরিবার- প্রথম পর্যায় প্রদানকৃত ১০০০ পরিবার প্রতি পুনরায় ১০ কেজি করে চাল।
১০। দশম পর্যায়: ১৮০০ দুস্থ পরিবার প্রতি ১৫ কেজি করে চাল।
১১। একাদশ পর্যায়: ৩২০০ দুস্থ পরিবার প্রতি ১৫ কেজি করে চাল। সর্বমোট ১০৯৭৫ টি পরিবার পেয়েছে ত্রাণ সহায়তা।
তবে ১০০০ জন চা দোকানদার ও সেলুনকর্মীকে দুই বার করে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।
মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওসমান গনি বলেন, এরপরও মুজিবনগরে কোনো অসহায় বা অভুক্ত পরিবার থাকলে তাদের ত্রাণ বিতরণ করা হবে।
জেলা প্রশাসক আতাউল গনি জানান, সরকারি ত্রাণের পাশাপাশি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এর নিজস্ব অর্থায়নে অসহায় কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্য উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এর পক্ষে জেলা প্রশাসক জানান, পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী আমাদের মজুদ আছে। মেহেরপুর জেলায় কোন মানুষ খাদ্য অভাবে থাকবে না।
মেপ্র/এমএফআর