বাড়ির কাছে যখন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর তৈরী হচ্ছিল, তখন আশায় বুক বেধেছিল ষাটোর্ধ বিধবা রনজু খাতুন। আবাসন এলাকায় গিয়ে নির্মিত ঘরগুলো দেখতো। কিন্তু রনজু খাতুনের সে আশা পুরণ হয়নি। এলাকায় সবাই ঘর পেলেও রনজুর ভাগ্যে জোটেনি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর।
এমনকি দ্বারে দ্বারে ঘুরেও বয়স্ক ভাতা ও ভিজিডির র্কাড পাননি রনজু খাতুন। রনজু খাতুনের এই ঘোরা এখনো শেষ হয়নি। এলাকার মেম্বর, চেয়ারম্যান ও নেতাদের বাড়িতে বাড়িতে যান ঘরের জন্য, ভাতার জন্য। রনজু খাতুন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বানিয়াকান্দর গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। খোজঁ নিয়ে জানা যায়, রনজু খাতুনের স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে সে বিভিন্ন মানুষের বাড়ীতে কাজ করতেন। এখন বয়স হয়েছে। কাজ করতে পারেন না। মাথা গোজার একখন্ড জমি বা ঘরও নেই তার।
পরের জমিতে রনজু খাতুন নাতি-নাতনী নিয়ে বসবাস করেন। অসচ্ছল পরিবার হওয়ায় দিন চলে অর্ধাহারে অনাহারে। রনজু খাতুন জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর পাগলাকানাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের কাছে একাধিকবার ঘুরেছেন। সরকারী প্রণোদনা পাননি।
এখন একটি ঘরের জন্য ঘুরছেন। তিনি জানান, পাগলাকানাই ইউনিয়নের ফকিরাবাদ গ্রামে ভূমিহীন পরিবারের জন্য আবাসন হয়েলেও তাকে একটি ঘর দেওয়া হয়নি। যারা তদ্বীর করেছেন কেবল তারাই ঘর পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে পাগলাকানাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, ঘর রবাদ্দ দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। সেখানে আমার কোন হাত নেই। তবে এ বছর শতভাগ ভাতা দেওয়ার কাজ চলছে। রনজু খাতুন তালিকা ভুক্ত হবেন। তিনি বয়স্ক অথবা বিধবা ভাতা পাবেন।