প্রধানমন্ত্রী জনগণের জীবন ও জীবিকার কথা মাথায় রেখে অনেক সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজকে গার্মেন্ট কারখানাগুলো চালু হওয়ার পর অনেকেই চিন্তা করেছেন এতে হয়তো সংক্রমণ আরও বাড়বে। কিন্তু আমরা মনে করি অনেক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার দুপুরে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপ-কমিটির আয়োজনে কোভিড-১৯ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষণ কর্মশালার ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য ও চিকিৎসায় যেন কোনো ঘাটতি না থাকে সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিমুহূর্ত মনিটরিং করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এই দুর্যোগ মেকাবেলা করতে শুরু থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি মুহূর্ত মনিটরিং করেছেন। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন যাতে দুর্যোগকে মোকাবেলা করতে পারি। মানুষ যাতে খাদ্য ও চিকিৎসায় কষ্ট না পায় সে জন্য সার্বক্ষণিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে সরকার ও চিকিৎসকদের নির্দেশ মেনে চললে সংক্রমণ আরও কম হতো দাবি করে হানিফ বলেন, বিশ্বের মানুষের কাছে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এই ভাইরাস থেকে কীভাবে মানুষ মুক্তি পাবে। উন্নত বিশ্বের মতো আমরাও বড় একটি দুর্যোগের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করছি। ইতিমধ্যে শেখ হাসিনার সরকার অনেকগুলো পদক্ষেপ শুরু থেকে নিয়েছেন। দিন দিন সংক্রমণ বাড়ছে, তবে সরকার ও চিকিৎসকদের নির্দেশ মেনে চললে এত সংক্রমণ হতো না।
সেফটিকে অগ্রাধিকার দিলে সংক্রমণ হওয়ার সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা যদি সেফটিকে অগ্রাধিকার দেই তাহলে সংক্রমণ হওয়ার সুযোগ নেই। এটি কঠিন কাজ নয়। মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করা। এবং নাকে-মুখে যতটা সম্ভব হাত না দেয়া, হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব যদি রাখতে পারি তাহলে আমরা করোনার এই ট্রান্সমিশন বন্ধ রাখতে পারি।
দেশবাসীর উদ্দেশে হানিফ বলেন, করোনাভাইরাস যেটি মহামারী আকারে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে সে জন্য আমরা সচেতন হই। শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন। উনি দায়িত্ব নেয়ার পর সব সেক্টরে এগিয়ে গেছি। তিনি এই দুর্যোগ মোকাবেলা করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সফল হবেন।
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কমিটির সদস্য সচিব ও দলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর।
সারা দেশেই প্রশিক্ষণ কর্মশালা করা হবে জানিয়ে আবদুস সবুর বলেন, অনলাইনে করোনাবিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষণ কর্মশালা দেশের প্রত্যেক জেলা-উপজেলা পর্যায়ে করা হবে। আমরা প্রথমে বিভাগভিত্তিক করব, পর্যায়ক্রমে জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে শুরু করব। সূত্র-যুগান্তর