বিজ্ঞান ও গবেষণার মাধ্যমে রাষ্ট্রের উন্নয়ন আজকের দিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা রাষ্ট্রের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর বিজ্ঞান ও গবেষণা সম্পৃক্ত চিন্তাগুলো এক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হিসেবে আনা যেতে পারে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে চিন্তাগুলো বহুমাত্রিক। যেমন জলবায়ু বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর গবেষণা নির্ভর নিজস্ব একটা ধারণা গড়ে উঠেছে। ধারণাটি নিঃসন্দেহে বহুমাত্রিক ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মৌলিক কিছু উপাদান চিহ্নিত করেছেন, এগুলো হচ্ছে খাদ্য, পানি ও অভিবাসন। জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটলে এই উপাদানগুলোও প্রভাবিত হয় ও এগুলোর পরিবর্তন মানুষের জীবনযাপন পদ্ধতিকে প্রভাবিত করে। যদি খাদ্যের বিষয়টি বিবেচনায় আনা হয় তবে দেখা যায় , জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্যের মান—এই দুটি মৌলিক উপাদানের উপর নেতিবাচক প্রভাব পরে। এর ফলে মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত নিরাপদ ও সুপেয় পানির অভাব দেখা দেয়, যা মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটায় মানুষ বাস্তচ্যুত হতে বাধ্য হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে সমাজ ও অর্থনীতির ওপর, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই উপাদানটি এক ধরণের মানবিক সংকটের জন্ম দিচ্ছে। এগুলোর প্রভাবে সম্পদের ওপর চাপ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থনীতির ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। এ থেকে উত্তরণে জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণু শস্যব্যবস্থা, পানির যথাযথ ব্যবহার ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার পাশাপাশি পানি ব্যবস্থাপনায় একটি বৈশ্বিক তহবিল গঠনের ধারণা প্রধানমন্ত্রীর বিজ্ঞান ও গবেষণা দর্শনেরই প্রতিফলন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে তাঁর এই চিন্তাধারাকে কেবল তত্ত্বের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেননি, বরং উদ্ভাবনমুখী নীতিমালা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে সেগুলো মোকাবেলায় বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও জলবায়ু সংক্রান্ত গবেষণায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছেন। অভিযোজন নীতির অংশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্প থেকে শুরু করে বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ করায় বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় অনেক বেশি প্রস্তুত। জলবায়ু অভিযোজন কর্মসূচি বাস্তবায়নের অগ্রদূত ও অভিযোজন নীতির স্বপক্ষের একজন বলিষ্ঠ প্রবক্তা হিসেবে শেখ হাসিনা অন্যদের জন্য অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন, যা তাঁর বিজ্ঞানমনস্ক মনোভাবেরই প্রতিফলন |
বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী চিন্তাসম্পন্ন সরকারপ্রধান হলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘গ্লোবাল ইনোভেশন এক্সচেঞ্জ’ (জিআইই) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ‘মোস্ট ইনোভেটিভ পলিটিশিয়ান’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি সামগ্রিক উদ্ভাবনের বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে গবেষণামূলক কার্যক্রম করে থাকে ও সারা পৃথিবীর উদ্ভাবনমুখী ভাবনা ও সৃজনশীল আইডিয়াগুলো সংগ্রহ করে সেগুলো ম্যাগাজিনে প্রকাশ করে। গবেষণার তথ্য-উপাত্ত বিচার-বিশ্লেষণ করে তারা বলছেন, ‘বিশ্বের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের মধ্যে উদ্ভাবনী ক্ষমতা ক্রমেই কমে যাচ্ছে। তাঁরা রুটিনমাফিক কাজ করেই রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া এমন কোনো সরকারপ্রধান দেখা যাচ্ছে না, যাঁদের উদ্ভাবনী চিন্তা রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রভাব রেখেছে।’
জিআইই তাদের বিশ্লেষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তিনটি উদ্যোগকে অত্যন্ত ক্রিয়েটিভ ও ইনোভেটিভ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যা অন্য দেশগুলো অনুসরণ করে তাদের দেশে সেগুলো বাস্তবায়নে অনুপ্রাণিত হয়েছে। সংস্থাটি ‘কমিউনিটি ক্লিনিক-এর ধারণাটিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবচেয়ে ইনোভেটিভ আইডিয়া হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিতীয় উদ্ভাবনী চিন্তার বাস্তবায়ন বলা হচ্ছে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’, যার মাধ্যমে দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের বাসস্থানের মতো মৌলিক চাহিদা যেমন পূরণ হয়েছে, তেমনই কর্মসংস্থানের মাধ্যমে নিজেদের আত্মনির্ভরশীল মানুষ হিসেবে প্রমাণ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। মাত্র দুটো উপাদান মানুষের জীবনে পরিবর্তন ঘটিয়ে যে নতুন ধারণার জন্ম দিয়েছে, তা অর্থনীতি ও সামাজিক বিজ্ঞানের গবেষণায় নতুন নতুন চিন্তা যুক্ত করতে পারে। তাঁর তৃতীয় উদ্ভাবনী চিন্তার নাম ডিজিটাল বাংলাদেশ। হতদরিদ্র, অর্ধশিক্ষিত মানুষের হাতে তথ্য-প্রযুক্তি পৌঁছে দিয়ে কার্যত শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এক নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছেন। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অর্থ আদান-প্রদানে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের অন্যতম। তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে বদলে গেছে বাংলাদেশের চিত্র। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণাকে এগিয়ে নিতে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল চাবিকাঠি হবে ডিজিটাল সংযোগ। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজের জন্যে ডিজিটাল সংযোগ মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।’ ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরে ডিজিটাল সংযোগের ধারণা প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবনী চিন্তারই একটি অংশ, যেখানে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজ অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক উপাদান ক্রিয়াশীল থাকবে। সবচেয়ে বড় কথা, স্মার্ট বাংলাদেশের মৌলিক ধারণা ও এর উপাদানগুলো নিয়ে প্রযুক্তিগত নির্ভর গবেষণা, অর্থনীতি সংক্রান্ত গবেষণা, সমাজ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সমন্বিত গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আবার এই উপাদানগুলো একটি অন্যটির পরিপূরক হিসেবে কাজ করছে, যা ইন্টিগ্রেটেড রিসার্চের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।
অমর্ত্য সেন ও রিচার্ড এইচ থেলার মানবিক অর্থনীতির কথা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট অর্থনীতির কথা বলেছেন, যেখানে মানবিক বিষয়গুলোর উন্নয়নের সাথে সাথে মানবিক প্রগতির উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এর সাথে, গবেষণা ও প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনীতিকে যুক্ত করে মানুষ, সমাজ ও সরকারের যোগসূত্র গড়ে তোলা হয়েছে। স্মার্ট অর্থনীতি প্রধানমন্ত্রীর মৌলিক দর্শন থেকে উৎসারিত উদ্ভাবনী চিন্তারই প্রতিফলন, যা অর্থনীতি ছাড়াও এর সাথে সম্পৃক্ত বিষয়গুলোর সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পর্কিত। মূলত প্রধানমন্ত্রী তাঁর গবেষণা লব্ধ উন্নয়নের ধারণাকে এমনভাবে গড়ে তুলেছেন, যেখানে গবেষণাও এগিয়ে যাবে, দেশের উন্নয়নও এগিয়ে যাবে। আর এগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়ন। কারণ প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে না পারলে পিছিয়ে পড়তে হবে।
বিজ্ঞান ও গবেষণা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজের ভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “গবেষণার মাধ্যমেই আমরা ব্যয় কমাতে এবং উৎপাদনের উৎকর্ষতা বাড়াতে পারি এবং বহুমুখী পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে রপ্তানি বাড়াতে পারি। আমি আশা করি নতুন নতুন পন্য সৃষ্টি এবং আমাদের রপ্তানি যেন অব্যাহত থাকে সেদিকে বিশেষভাবে আপনারা দৃষ্টি দেবেন।” দেশকে পরনির্ভরশীল না রেখে কিভাবে নিজেদের আহরিত সম্পদকে গবেষণার মাধ্যমে ব্যবহার করে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানো যায়, সেই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিজের দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। গবেষণার মাধ্যমে দেশীয় উপাদানে তৈরি রপ্তানিমুখী শিল্প গড়ে তোলা ও আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়গুলো সেই পরিকল্পনারই অবিচ্ছেদ্য অংশ | মনে রাখতে হবে, বিজ্ঞান ও গবেষণা কেবল বিজ্ঞানী ও গবেষকদের প্রচেষ্টায় সফল হতে পারেনা, যদি না সেখানে গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে গবেষণামনস্ক নেতৃত্ব গড়ে উঠে | আমরা সৌভাগ্যবান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কর্মপরিকল্পনাগুলো গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেমন নিজের উদ্ভাবনী ধারণাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন, তেমনই বিজ্ঞানী ও গবেষকদের উদ্ভাবন ও গবেষণায় নিজেদের এগিয়ে নিতে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী দেশের সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে উদ্ভাবন চর্চা ও সেগুলোর বাস্তব প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেদের বিজ্ঞানমনস্ক জাতি হিসেবে গড়ে তোলার সাহস যুগাচ্ছেন | সময় যত এগিয়ে যাচ্ছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিরও তত পরিবর্তন ঘটছে | এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনা বলেছেন, “প্রযুক্তির প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে এবং নতুন থিওরি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এসে গেছে। এরফলে আমাদের লোকবল হয়তো কম লাগবে। কিন্তু প্রযুক্তিকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে এবং সেজন্য আমাদের দক্ষ জনশক্তি দরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবার আমরা সম্পূর্ণ সেদিকে যেতে চাই না। আমরা শ্রমঘন শিল্পও করতে চাই। কারণ আমাদের বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করতে হবে। এই দু’টি মিলিয়ে আমাদের দেশকে কীভাবে আমরা এগিয়ে নিতে পারি সেই চিন্তাই সবার মাথার মধ্যে থাকতে হবে।” এই কথাগুলোর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নিজের গবেষণালব্ধ ফলাফলের সমন্বয় ঘটেছে। প্রযুক্তি এগিয়ে গেলে অটোমেশনের কারণে মানুষের প্রয়োজন ফুরিয়ে আসবে | কিন্তু এখন আমরা জনসংখ্যাকে সমস্যা হিসেবে বলছিনা, বরং জন্যসংখ্যাকে জনসম্পদ বলছি। উন্নত বিশ্বে অটোমেশনের প্রয়োগ বেড়ে যাওয়ায় সেখানে বেকারত্ব ক্রমাগত বাড়ছে | বেকারত্বের কারণে হতাশা বাড়ছে, এর সাথে সামাজিক অপরাধ বাড়ছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে শ্রমঘন শিল্পের কথা বলছেন, যেটি প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে মানুষের কর্মসংস্থান বাড়ানোর বিষয়টিকে নিশ্চিত করবে।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আইটি পার্ক, হাইটেক সিটি, হাইটেক পার্ক, সফ্টওয়ার টেকনোলজি পার্ক, আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর, ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং এর মতো প্রযুক্তি নির্ভর ও কর্মসংস্থানমুখী বিভিন্ন সেক্টর গড়ে উঠেছে। এগুলোতেও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর গবেষণা দর্শন থেকে বুঝেছেন, শিল্পকারখানাগুলো এগিয়ে নিতে সেগুলোর প্রত্যেকটিতে রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেকশন থাকতে হবে। এর সাথে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথেও শিল্পকারখানাগুলোর গবেষণা সম্পৃক্ত যোগাযোগ থাকতে হবে। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন, প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে শিল্পকারখানার উৎপাদিত পণ্যের উৎকর্ষতা না ঘটলে শিল্পকারখানাগুলো পিছিয়ে পড়বে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন | শিক্ষকদের গবেষণায় প্রেরণা জোগাচ্ছেন, উন্নত ও আধুনিক ল্যাবরেটরি ফ্যাসিলিটি গড়ে দিচ্ছেন। ছাত্রদেরও গবেষণায় অনুপ্রাণিত করছেন। গবেষণাকে এগিয়ে নিতে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ও গড়ে তোলা হচ্ছে। উন্মোচিত হচ্ছে বিজ্ঞান ও গবেষণার নতুন নতুন দ্বার ও সম্ভাবনা | গবেষণায় চ্যালেঞ্জ আছে, চ্যালেঞ্জ থাকবেই, তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজেদের সামর্থ্য ও শক্তিতে পদ্মা সেতু তৈরি করার বিজয়, আমাদের মনোবল জাগ্রত করেছে। এখন গর্ব করে বলা যায়, আমরাও পারি |
এখন দরকার সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা। প্রধানমন্ত্রীর বিজ্ঞান ও গবেষণা দর্শনেও সেই সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রতিফলন ঘটেছে। সেটি এগিয়ে নেবার দায়িত্ব আমাদের সকলের। দেশ আমাকে কি দিলো সেটি বড় কথা নয়, দেশকে আমরা কি দিলাম সেটাই বড় কথা। বঙ্গবন্ধুর কথায়, মহাঅর্জনের জন্য দরকার মহত্যাগ | সেই মহত্যাগ হোক আমাদের অমিত শক্তি |
লেখক: কলামিস্ট ও লেখক, অধ্যাপক, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর।