মেহেরপুরে প্রাণী সম্পদ বিভাগের বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণের সম্মানী ভাতা’র টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে পুরো টাকা ফেরতের দাবিতে যুব উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করতে থাকে প্রশিক্ষণার্থীরা। এ সময় মেহেরপুর সদর থানার একটি পুলিশের দল সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে প্রশিক্ষণার্থীদের আন্দোলনের মুখে আরও ৫শ টাকা ফেরত দেয় জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জাহাঙ্গির আলম।
জানা গেছে, গত ১১ ডিসেম্বর জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের আয়োজনে তিন দিনের “ব্লাক বেঙ্গল জাতের ছাগল পালন ও উন্নয়ন, উন্নত প্রযুক্তি এবং প্রাণিসম্পদ মাঠ স্কুল(এলএফএস) বাস্তবায়ন শীর্ষক সিজিএফ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
যেখানে মেহেরপুরের তিন উপজেলার দশ জন করে মোট ত্রিশ জন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণে অংশ নেয়। আজকে প্রশিক্ষণের সমাপনী দিন ছিল। সমাপনী দিনে প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে ৫’শ টাকা করে সম্মানী ভাতা’র খাম ধরিয়ে দেওয়া হয়। অথচ প্রশিক্ষণার্থীদের দাবি, ২৯’শ টাকায় সাক্ষর করিয়ে নিয়ে আমাদের ৫’শ টাকা দেওয়া হচ্ছে।
আন্দোলনকারি প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে মেহেরপুর সদরের প্রতিনিধি জাহিদ হাসান জানান, আমরা তিনদিন ধরে প্রশিক্ষণ করছি। অথচ আমাদের প্রশিক্ষণের প্রথম দিনেই সকল সাক্ষর করে নেওয়া হয়। আজ শেষ দিন আমাদের হাতে মাত্র ৫শ টাকা দেওয়া হচ্ছে। গাংনী উপজেলার প্রতিনিধি নুরজাহান নুরি ও মুজিবনগর উপজেলার প্রতিনিধি জোহন মন্ডল একই কথা বলে।
এ বিষয়ে মেহেরপুর যুব উন্নয়ন কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ফিরোজ আহমেদ জানান, আমাদের যুব উন্নয়ন কেন্দ্রটাকে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করেছে। টাকা আত্মসাতের বিষয়ে আমার জানা নেই।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জাহাঙ্গির আলম জানান, আমাদের প্রশিক্ষণ প্রকল্পে মোট ৭৪ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল। তিন দিনের যাবতীয় খরচ বাদ দিয়ে যে টাকা ছিল সেটা প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সম্মানী ভাতা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। এখানে কোন ধরনের দুর্নীতি করা হয়নি।