রাজধানীর তেজগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ছবি: সংগৃহীত
সারাদেশে শুরু হওয়া মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের গুজব গ্রাহ্য না করার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, কেউ যাতে প্রশ্ন ফাঁস করতে না পারে, সেজন্য এবার ২ হাজার ৭৯০ সেট প্রশ্ন ছাপানো হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর তেজগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কেউ যেন প্রশ্ন ফাঁস করতে না পারে, সেজন্য এবার ৫ হাজার ৫৮০ সেট প্রশ্ন প্রণয়ন করার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২ হাজার ৭৯০ সেট প্রশ্ন ছাপানো হয়েছে। সুতরাং প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ নেই।
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় রাজনৈতিক কোনো প্রভাব পড়বে না বলেও আশা প্রকাশ করেন দীপু মনি। বলেন, রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষাকে বাধাগ্রস্ত করবে না বলে আমরা বিশ্বাস করি। তাই পরীক্ষা চলাকালীন সব দল ও ব্যক্তিদের সহিংস কর্মকাণ্ড ও অবরোধ-বিক্ষোভ-হরতাল কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
অনেক স্কুলে ফরম পূরণ করেও পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র পায়নি-এমন অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছু প্রতিষ্ঠানে অনুমোদন না থাকলেও সেখানে শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা অভিযোগ রয়েছে। অনেকে প্রবেশপত্র না পাওয়ায় পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অভিযোগগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা সচিব মাহবুব হোসেন, অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক গোলাম ফারুক প্রমুখ।
সোমবার সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয়েছে এসএসসি পরীক্ষা। এবার নিয়মিত-অনিয়মিত মিলে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ১০ লাখ ২২ হাজার ৩৩৬ জন ছাত্র ও ১০ লাখ ২৩ হাজার ৪১৬ জন ছাত্রী। গত বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। গত বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন। সেই হিসাবে এবার মোট ৮৭ হাজার ৫৫৪ জন পরীক্ষার্থী কম। এবার সারা দেশে ৩ হাজার ৫১২টি কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৮৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২০২টি ও কেন্দ্র ১৫টি বেড়েছে।
সুত্র-যুগান্তর