সাংবাদিক তুহিন আরন্যকে কোর্ট হাজতে থেকে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় ছবি তুলতে গিয়ে লাঞ্চনার শিকার হয়েছেন মেহেরপুরের কয়েকজন সাংবাদিক। লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে এখন টেলিভিশনের মেহেরপুর প্রতিনিধি মুজাহিদ মুন্না, প্রতিদিনের বাংলাদেশের মেহেরপুর প্রতিনিধি মেহেরাব হোসেন অপি ও অনু নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।
এক পর্যায়ে রাজু হোসেন নামের এক ফ্রিল্যান্সিং সাংবাদিকের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায় আসামির লোকজনরা।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে মেহেরপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের পিছনে সাংবাদিক তুহিন আরন্যকে জেলে নেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় সেখানে থাকা মেহেরপুর প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার নাসিম হাসান, আমাদের অর্থনীতির মাসুদ রানা, সময়ের সমীকরণের সোহান রেজাসহ অন্যান্য সাংবাদিকরা ভয়ে ছবি তুলতে পারেনি। কেউ কেউ ছবি তোলার চেষ্টা করলে তাদেরকেও থামিয়ে দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী ফ্রিল্যান্সিং সাংবাদিক রাজু হোসেন জানান, মেহেরপুরের চাঞ্চল্যকর আটলান্টিকা হোটেল কাণ্ড মামলায় সাংবাদিক তুহিন আরন্যর জামিন না দিয়ে তাকে জেলে পাঠিয়েছেন আদালত। এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে ছবি তুলতে যায় ছবি তুলতে গিয়ে সাংবাদিক মেহেরাব হোসেন অপি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এসময় সাংবাদিক মুজাহিদ মুন্না, অনুসহ বেশ কয়েকজন আমাকে বাঁধা দেয় এবং মোবাইলটা ছিনিয়ে নেয়। পরে আমাকে নিয়ে তারা সাংবাদিক তুহিন আরন্যর ভাই তুষারের একে মটরস শোরুমে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে আমার মোবাইলের ছবি মুছে দেয় এবং আমাকে নানারকম হুমকি প্রদান করে।
এ ঘটনায় রাজু হোসেন মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে মেহেরপুর প্রতিদিনকে জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সময়ের সমীকরণের সাংবাদিক সোহান রেজা জানান, সাংবাদিক মেহেরাব হোসেন অপি সাংবাদিক রাজু ভাইকে গালাগালি করছেন এবং মোবাইল কেড়ে নেওয়ার জন্য ধস্তাধস্তি করছিলো। পরে মুজাহিদ মুন্না রাজুর মোবাইল কেড়ে নিয়ে রিস্টার্ট করে দিলো। সাংবাদিকের কাজ সত্যটা তুলে ধরা। তারা সাংবাদিকের কাজে বাধা হয়ে দাড়ালো।