বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় প্রেম করে বিয়ের চার মাসের মাথায় নিজ ঘর থেকে এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম মিতু খাতুন (২০)।
শনিবার সকালে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের ফুলজোড় গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মিতু টাঙ্গাইল জেলার সদর উপজেলার মিজানুর রহমানের মেয়ে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত চার মাস আগে উপজেলার ফুলজোড় গ্রামের হিটলারের ছেলে জুবায়ের খানের সঙ্গে মিতু খাতুনের ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়।
এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। উভয় পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে তারা পালিয়ে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে ছেলে জুবায়ের খানের পরিবার মেনে নিলেও মিতুর পরিবার মেনে নিতে অস্বীকার করে। এতে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতবিরোধ ও পরিবারে অশান্তির সৃষ্টি হয়।
শুক্রবার দুপুরের খাবার খেয়ে মিতু তার শয়ন কক্ষের দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন। পরবর্তীতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পর ঘুম থেকে জেগে না ওঠায় স্বামীর পরিবারের লোকজন তার নাম ধরে একাধিকবার ডাকাডাকি করেন।
কিন্তু কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে গৃহবধূ মিতুকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেন।
মিতুর স্বামী ও শ্বশুরের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে উল্লেখ করে মিতুর মা সোনিয়া আক্তার বাদী হয়ে শেরপুর থানায় ওই দিন রাতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, শয়নকক্ষে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়।
তবে প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তাই মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেদন হাতে পাওয়া গেলেই মৃত্যুর কারণ সঠিক করে বলা সম্ভব হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে।