প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় বিক্রমপুরের রাকিব শেখ নামের এক মাদকাসক্ত যুবক গাংনীতে এসে নিজের পেটে ছুরিকাঘাত করে আত্নহত্যার চেষ্টা করেছেন। আজ বিকেল ৩ টার সময় গাংনীর বামুন্দি বাস-স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। রাকিব শেখ (২০) বিক্রম পুরের শিরাজদিখা খিলগা এলাকার লিটন শেখের ছেলে বলে প্রাথমিক ভাবে পরিচয় পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। রাকিব শেখের পেটে প্রচুর রক্ত খরণ ও মাদকাসক্ত হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
জানা গেছে,গাংনী উপজেলার দিনমজুর সিদ্দিকুরের কন্যা সুমাইয়া(১৮) সংসারের অভাব অনটন ঘোচাতে গার্মেন্টসে চাকুরির উদ্দেশে ঢাকায় যায় দু বছর আগে। গাবতলী এলকার একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকুরি নেয়। চাকুরি সুবাতে পরিচয় হয় ওই গার্মেন্টসের কর্মী রাকিবের সাথে। পরিচয়ের কয়েক মাস পরে তাকে বোনের পরিচয়ে রাকিবের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যায়।
কিন্তু বাড়ি পৌছানোর পর তাকে বউ পরিচয় দিতে হত্যার হুমকি দিয়ে বাধ্য করে সুমাইয়া খাতুন কে। সুমাইয়া জানান, রাকিবের বাড়ি গিয়ে দেখি সে একজন মাদকাসক্ত যুবক। সে তার নিজের শরীরে ভিভিন্ন অংশে সিগারেটের স্যাকা দেয় এবং হাত কেটে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কয়েকদিন আটকিয়ে রাখে। পরে আমি সেখান থেকে পালিয়ে আসি। ঢাকা জেলা লক ডাউন হওয়ার আগে আমি আমার গ্রামের বাড়ি পীরতলায় চলে আসি। রাকিব আমার ঠিকানা জোগাড় করে বুধবার আমাদের গ্রামে আসে। আমি তার সাথে দেখা বা যোগাযোগ না করায় সে। বাড়ি ফিরে যেতে বলে গ্রামের লোকজন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বামুন্দি বাজারে একটি ফলের দোকানে গিয়ে ফল কাটা ছুরি নিজের পেটে ঢুকিয়ে আত্নহত্যার চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সুমাইয়া খাতুনের মা সুফিয়া খাতুন বলেন, আমার মেয়ে বিবাহিতা। তাছাড়া চাকুরির সুবাদে সেখানে পরিচয় হওয়াটা সাভাবিক। ওই ছেলে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে মাতলামি করতে করতে আমাদের বাড়িতে আসলে তাকে ঢুকতে দিইনি। রাকিবদের বাড়ির মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়,কিন্তু ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
রাকিবের পেটে রক্ত খরণ বন্ধ না হওয়া এবং নেশাগ্রস্থ হয়ে মাতলামি করায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার করে চিকিৎসক।
গাংনী থানার ওসি জানান, বিষয়টি শুনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ পাঠিয়েছেন। সেই সাথে রাকিবের পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।