ফিফার রেফারি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন মেহেরপুরের গাংনীর কৃতি সন্তান মো: আব্বাস আলী। তিন বছর আগে ফুটবল ফেডারেশনের তালিকা ভুক্ত হওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিনের সেই স্বপ্ন দ্রত বাস্তবায়ন হবে এমন প্রত্যাশা তার।
মো: আব্বাস আলী গাংনী উত্তর পাড়ার বিশিষ্টি ব্যবসায়ী ইন্তাজ আলীর ছেলে। সে অনার্স মাষ্টার্স শেষ করে গাংনীতে গড়ে তুলেছেন ফুটবল একাডেমি।
রেফারি মো: আব্বাস আলী জানান,ছোট থেকে পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে এলাকার বড় ভাইদের সাথে গিয়ে খেলা করতাম। খোলোয়ারদের পাশাপাশি রেফারি খেলা পরিচালনা দেখে স্বপ্ন ছিলো ফিফার রেফারি হবো। সপ্নকে বুকে ধারন করে ফুটবল ফেডারেশন রেফারির প্রশিক্ষণ গ্রহন করি।
তিনি বলেন, জাতীয় স্কুল ফুটবললীগ, জেলা প্রথম বিভাগ সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ফুটবল খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেছি। এখন ফুটবল ফেডারেশনের রেফারি হয়ে জীবনের সপ্নকে বাস্তবায়ন করতে চাই। বাফুফে কর্তৃপক্ষ নিশ্চই তার সপ্নের পথে পৌছাতে সার্বিক সহযোগিতা করবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সমাজে মাদক ও মোবাইল ফোনে উঠতি বয়সের যুবকদের বিপদগামী করে তুলছে। যুবকদের খেলাধুলার মাধ্যমে মাদক থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জনপ্রিয় খেলা ফুটবল অনেকেই খেলে। কিন্তু কেউই ঠিক নিয়ম জানেনা। সকলেই মনগড়া নিয়ম তৈরি করে খেলা পরিচালনা করেন। ফুটবল খেলায় ফিফার যে বিধি বিধান আছে সেই গুলো সকলের মাঝে তুলে ধরে ফুটবলের উন্নতি করা ও ফুটবলের ঠিক নিয়ম এর মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে খেলোয়াড় তৈরি করা।
স্থানীয় ফুটবল খেলোয়াররা জানান, মো: আব্বাস আলী শুধু বাফুফের সদস্যই না সে যেন ফিফার রেফারি হতে পারে এজন্য সরকার ও বাফুফের দৃষ্টি কামনা করেন। তারা বলেন, রেফারি মো: আব্বাস আলী জেলার গর্ব তাকে নিয়ে গর্ববোধ করি। সে বাফুফের রেফারি হয়ে দেশের তথা এ অঞ্চলের মুখ উজ্জ্বল করবে এটাই প্রত্যাশা তাদের।
সাবেক ফুটবলার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী এমপি বলেন, দেশে দক্ষ রেফারির প্রচুর চাহিদা রয়েছে একারনে করোনার মধ্যেও প্রশিক্ষণ কোর্স চলমান ছিলো। দেশের অনেকেই ফিফার রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। আমরা রেফারিদের বিদেশে পাঠাতে পারলে অভিজ্ঞাতা বাড়বে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।