কুষ্টিয়া শহরের এনএস রোডের সড়ক বিভাজনের মাঝে সূর্যমুখী ফুলের বীজ বপন করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এর মুল নায়ক কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগ কর্মী ইন্তাদুল হক পাপ্পু। তার বাড়ী মিরপুর উপজেলার আমলা এলাকায়।
কৃষক বাবার মাঠের জমিতে সূর্যমুখী চাষে অভিভূত হয়ে তিনি কুষ্টিয়া শহরের এই সড়ক বিভাজনের মাঝে সূর্যমুখী ফুলের বীজ রোপণের উদ্যোগ নেন। এরপর মাস দুয়েক আগে তিনি আধা কেজি সূর্যমুখী বীজের চারা রোপন করেন।
সেই বীজ অঙ্কুরোদগম হয়ে এই দুই মাসে প্রস্ফুটিত হয়ে হলুদাভ ফুল ফুটতে শুরু করেছে। সূর্যমুখী ফুলের জন্য রাস্তাটি সৌন্দর্য বাড়িয়েছে, এছাড়া প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে সহযোগিতা করছে এই ফুল গাছগুলো। সারি সারি সূর্যমুখী ফুলের হলুদ রঙে মন ছুঁয়ে যাচ্ছে চলাচল রতপথচারী ও ব্যবসায়ীদের।
রাতে যেমন আইল্যান্ডের আলোতে রাস্তাটিকে আলোকিত করে ঠিক তেমনি দিনের বেলায় সূর্যমুখী ফুলের হলুদ রঙে সৌন্দর্যটা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
এন এস রোডের মৌবনের সামনে ছবি তুলছিলেন মৌবনের নির্বাহী পরিচালক সাফিনা আনজুম জনী। তিনি জানান, সড়কের মাঝে সূর্যমুখী ফুল গুলো ফুটে থাকে যা দেখে অনেক ভালো লাগে। তাই ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারলাম না।
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি স্বপন হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করে ছাত্রলীগ কর্মী ইন্তাদুল হক পাপ্পু যে সূর্যমুখী ফুল গাছ লাগিয়েছে এর থেকে বোঝা যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার কতটা ভালোবাসা রয়েছে। কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগ কর্মী পাপ্পুর প্রতি রইল ভালোবাসা।
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগ কর্মী ইন্তাদুল হক পাপ্পু জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করে সূর্যমুখী ফুলের বীজ বপন করেছিলাম এন.এস রোডে যা আজ ফুল ফুটে রাস্তাটির সৌন্দর্য বাড়িয়েছে।
কুষ্টিয়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি সূর্যমুখী ফুলগুলোর সঠিক পরিচর্যা করার জন্য, আগামীতেও আমার এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য, সামাজিক ভারসাম্য রক্ষার্থে নিয়মিত গাছ লাগানোর কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন এই ছাত্রলীগ কর্মী।
কুষ্টিয়া পৌরসভার পরিকল্পনাবিদ রানভীর আহমেদ বলেন, শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে এই এনএস সড়ক বিভাজনের মাঝে থাকা ফুটন্ত সূর্যমুখী ফুলগুলো।
আমরা অন্য ফুল গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করেছিলাম এবং কিছু রোপন যদিও করেছিলাম তবে এই সূর্যমুখী ফুল রোপণ করা হয়েছে জেনে আমরা গাছগুলোতে নিয়মিত পানি দেওয়াসহ পরিচর্যা করেছি।