কুষ্টিয়া শহরে রজনী অধিকারী (১৯) নামে এক কলেজছাত্রী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার (৮ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের থানাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির।
রজনী অধিকারী কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া এলাকার ৯ নম্বর পলানবক্স এলাকার অশোক অধিকারীর মেয়ে। তিনি ফুড পান্ডার কুষ্টিয়া অফিসে ডেলিভারিম্যান হিসেবে চাকরি করতেন। রজনী কুষ্টিয়া আইডিয়াল পলিটেকনিকের ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। পড়ালেখার পাশাপাশি স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য ফুড ডেলিভারির চাকরি করতেন।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে পরিবারের লোকজনের অজান্তে ফাঁস দেয় রজনী। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পরিবারের লোকজন তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়।
নিহতের বাবা অশোক অধিকারী বলেন, আমার মেয়ে খুব আদরের ছিল। আদরের মেয়ে আর নেই, আত্মহত্যা করেছে। রজনী খুব রাগী ও অভিমানী ছিল। তার কোনো এক বন্ধুর ওপর অভিমান করে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ফুড পান্ডার কুষ্টিয়া অফিসের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ফজলে রাব্বী বলেন, রজনী আমাদের এখানে বিনয়ের সঙ্গে মন দিয়ে কাজ করত। মেয়েটা খুব পরিশ্রমী ছিল। ভালো কাজের দক্ষতাও ছিল। আসলে কী কারণে সে আত্মহত্যা করল বুঝে উঠতে পারছি না।
রজনীর বান্ধবীরা বলেন, রজনী খুব জেদি ছিল। যখন-তখন মান অভিমান করে হাত কাটত, না খেয়ে থাকত। সে তার এক বন্ধুর ওপর অভিমান করে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ওই বন্ধুর বাড়ি রাজবাড়ী জেলায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বন্ধুর ওপর অভিমান করে রজনী নামের মেয়েটি ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।