১৮৫০ সালে যুক্তরাজ্যে পাবলিক লাইব্রেরি এ্যাক্ট পাশ হয়। যদিও সেই আইন পাশ করতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অভিজাত ও রক্ষণশীল সদস্যগনের অনেকে শিক্ষা ও সচেতনতা তৈরীর কাজে রাজকোষের অর্থ ব্যয়ের বিপক্ষে ছিলেন। তারপরেও আইনটি পাশ হয়ে যায়। ওই আইন পাশের পর ১৮৫৪ সালে এই অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয় ৫টি গণগ্রন্থাগার। এগুলো হলো যশোর, বগুড়া, রংপুর, বরিশাল ও হুগলি পাবলিক লাইব্রেরি। যেসময় এসব লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা হয় সেসময়ও কলকাতা বিশ^বিদ্যালয় গণগ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার অধিকার পায়নি।
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে দ্য ব্রিটিশ ওয়ার্কম্যান পত্রিকায় প্রকাশিত হয় যে, ইংল্যান্ডের কুম্ব্রিয়া অঞ্চলের আটটি গ্রামে একটি ভ্রাম্যমান গ্রন্থাগার ক্রিয়াশীল অবস্থায় রয়েছে। জর্জমুর নামক একজন সমাজসেবী ব্যবসায়ী ভালো ভালো সাহিত্যকর্মকে গ্রামীণ জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এই প্রকল্পর সৃষ্টি করেন। আমাদের দেশে বিশ^সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ একজন বহুমুখী ব্যক্তিত্ব। অধ্যাপনা করেছেন তিনি ১৯৬২ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত ত্রিশ বছর ধরে। তিনি অনুভব করেছেন যে, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন আলোকিত মানুষ। ১৯৭৮ সালে তিনি বিশ^সাহিত্য কেন্দ্র ও ভ্রাম্যমান লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেন।
২৩ বছর বয়সের আসাদের বাড়ি জামালপুর জেলার সরিষা বাড়িতে। পড়াশোনার পাশাপাশি রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করেন। এলাকায় বই পড়ার অভ্যাস গড়াতে ২০১৮ সালে ২০টি বই নিয়ে একটি পাঠাগার চালু করেন। তার পাঠাগারে দুই হাজারের বেশী বই এখন। আসাদ আশপাশের গ্রামগুলোর যুবকদের বই পড়ার অভ্যাস গড়াতে নিজে সাইকেল চালিয়ে বড়ি বাড়ি গিয়ে বই দিয়ে আসেন। আগের দেয়া বই নিয়ে আসেন। এলাকার কতশত জন এখন তার পাঠাগারে বসে জ্ঞান অর্জন করছে। পাঠাগারটির একটি ফেসবুক গ্রুফ আছে। সেখানে আছে বইয়ের তালিকা। গ্রুপের সদস্যরা গ্রুপে লেখকের ও বইয়ের নাম জানালেই আসাদ সাইকেল চালিয়ে বই পৌছে দেন। দিনমজুর বাবার সবচেয়ে ছোট ছেলে আসাদ এই পাঠাগার নির্মাণ করে আকাশ হয়ে গেছেন। কেউ তাকে আর ছুঁতে পারেনা।
অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে পলান সরকার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ইতি টানেন। কিন্তু বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলেন। পলান সরকারের নানা ময়েন উদ্দিন সরকার স্থানীয় ছোট জমিদার ছিলেন। নানার কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে ৪০ বিঘা সম্পত্তির মালিক হন। পলান সরকার রাজশাহী জেলার ২০ টি গ্রামজুড়ে গড়ে তুলেছেন অভিনব শিক্ষা আন্দোলন। নিজের টাকায় বই কিনে তিনি পড়তে দেন পিছিয়ে পড়া গ্রামের মানুষদের। প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে কাঁধে ঝোলাভর্তি বই নিয়ে একেকদিন যেতেন একেক গ্রামে। বাড়ি বাড়ি কড়া নেড়ে আগের সপ্তাহের বই ফেরত নিয়ে নতুন বই পড়তে দেন। এলাকাবাসীর কাছে তিনি পরিচিত ‘বইওয়ালা দাদুভাই’ হিসেবে। ২০০৯ সালে রাজশাহী জেলা পরিষদ তার বাড়ির আঙিনায় একটি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১১ সালে সামাজসেবায় অবদানের জন্য রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক লাভ করেন। ২০১৯ সালের ১ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পলান সরকারও আকাশ হয়ে গেছেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আসাদ, পলানের মতো মানুষের জন্ম হয়েছে। তাদের অনেকেই আকাশ হতে পেরেছেন। আমরা তাদের স্মরণ করিনা।
বই হচ্ছে জ্ঞানের ভান্ডার তাই প্রতিটি লাইব্রেরি, স্কুলে গ্রন্থাগার হচ্ছে জ্ঞান ভান্ডারের একটি স্থান বা উৎস। তাইতো লাগোস হোপ দেশে দেশে ঘুরছে বই নিয়ে। যেমন আমাদের দেশে ঘোরে গাড়ি ভর্তি বই নিয়ে ভ্রাম্যমান লাইব্রেরি। ১৯৭০ সাল থেকে জার্মাণ ভিত্তিক জিবিএ শিপ থরে থরে সাজানো বই নিয়ে বিশ^ব্যাপি বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে ১৯৭০ সালে দুটি জাহাজভর্তি বই নিয়ে দেশে দেশে ঘুরে বেড়ান। এপর্যন্ত ১৫১ দেশ ভ্রমন করেছে। অথচ আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠিত লাইব্রেরিগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
স্কুল লাইব্রেরি প্রতিটি শিক্ষার্থীকে জ্ঞান আহরণের জন্য নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু গ্রন্থাগারগুলো মুখো হন না শিক্ষার্থীরা। গ্রাম, শহর ও পাড়া মহল্লার লাইব্রেরিগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। সর্বশেষ ঐতিহ্যবাহী মেহেরপুর পাবলিক লাইব্রেরি কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় থেকে বন্ধ। একমাত্র সরকারি গ্রন্থাগারটিতেও চলছে পাঠক খরা।
মেহেরপুর সরকারি কলেজ থেকে ঢিলছোড়া দুরত্বে সরকারি বিশাল গ্রন্থাগারে তাকে তাকে সাজানো দেশ-বিদেশের বই। ঝকঝকে তকতকে উন্নতমানের কাঠের চেয়ার-টেবিল আর টাইলস করা মেঝে। অতি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও আধুনিকতার ছোঁয়া থাকার পরও পাঠকশূন্য গ্রন্থাগার। পাঠক খরায় ভৌতিক পরিবেশ গ্রন্থাগারটিতে। এমন অবস্থা দেখা গেছে মেহেরপুরে সরকারি গণগ্রন্থাগারে।
১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে ড. শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কের সামনে একটি ভাড়া ভবনে সরকারি গণগ্রন্থাগারটির যাত্রা শুরু। ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে ওয়াবদা সড়কে এডভোকেট আফরোজা বেগমের বাড়ির নিচতলায় ভাড়া বাড়িতে ছিলো কুড়ি বছর। ২০১২ খ্রিস্টাব্দে সরকারি কলেজ থেকে ঢিলছোড়া দুরত্বে নিজস্ব ভবনে গ্রন্থাগারটির উদ্বোধন হয়। প্রথম দিকে সেখানে অনেক পাঠক ছিলো। তবে ক্রমে পাঠকশূন্য হয়ে যাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন গ্রন্থাগারটির। পাঠক ফেরাতেও নেই কোনো উদ্যোগ। অথচ গ্রন্থাগারটিতে পাঠকদের জন্য ৩৭ হাজার ৫০৫টি বই রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গল্প, উপন্যাস, কবিতা, ধর্মীয় ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই। অভিধানসহ ইংরেজি ভাষারও বেশ কিছু বই এখানে রয়েছে। এছাড়া গ্রন্থাগারে প্রতিদিন ৫টি বাংলা, ২টি ইংরেজি দৈনিক ও বেশ কয়েকটি ম্যাগাজিন রাখা হয়। এখানে এক সঙ্গে ৩০ জন পাঠকের নিরিবিলি পরিবেশে বসে বই পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখা হয়। সেখানে শিশুদের জন্য পৃথক পাঠচক্র ব্যবস্থা আছে। শহরের একপ্রান্তে হবার কারণেই এখানে পাঠক কমে গেছে।
জেলা শহরে আছে সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বেসরকারি পাবলিক লাইব্রেরি (গ্রন্থাগার) আছে, কিন্তু প্রাণহীন। নেই পাঠকের কোলাহল। আলমারিতে বন্দি বই, হয়তো খোলাই হয় না বহুদিন। কোথাও বইয়ের কিছু সংগ্রহ আছে, তবে তাকে লাইব্রেরি বলা চলে না। কোথাও কোথাও লাইব্রেরিয়ান থাকলেও অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে বইগুলো, যেন অনেকটাই অভিভাবকহীন। এমনচিত্র মেহেরপুরের সরকারি-বেসরকারি লাইব্রেরি ও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। মানুষকে আলোকিত করতে শতবছর আগে ১৯২২ সালে এক দানশীল শহরের বুকে ৯৭ শতাংশ জমি দান করে তাঁদের স্বর্গীয় বাবার নামে প্রতিষ্ঠা করেন ‘যোগেন্দ্র নাথ ঘোষ মেমোরিয়াল লাইব্রেরী’। ১৯৩৯ সালে তদানীন্তন এসডিও এবং পদাধিকার বলে সভাপতি এ. আর. রহমান এই লাইব্রেরিটি সম্প্রসারণ করেন এবং নতুন নামকরণ করা হয় মেহেরপুর পাবলিক ক্লাব। স্বাধীনতা উত্তরকালে বেশ কয়েক বছর ক্লাবটি বন্ধ থাকে। ৮০র দশকে ফের লাইব্রেরিটি চালু হলেও ২০০০ খ্রিস্টাব্দকালীন সময় থেকে রাজনীতি, কমিটির মধ্যে অভ্যন্তরীন বিরোধসহ নানামুখি কারণে পাঠক খরা দেখা দেয়। কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় থেকে জেলার সবচেয়ে বয়স্ক এই গ্রন্থাগার ‘মেহেরপুর পাবলিক লাইব্রেরি’ আর খোলা হচ্ছেনা। লাইব্রেরিটি তালাবদ্ধ। প্রতিষ্ঠানটির লাইব্রেরিয়ান খন্দকার সামসুজ্জোহা সোহাগ একটি মামলায় পলাতক আছে। সাবেক এক লাইব্রেরিয়ানের বয়ানে- একটা সময় লাইব্রেরি নিয়ে কোন রাজনীতি ছিল না। এখন রাজনীতি জায়গা করেছে লাইব্রেরিতে।
মেহেরপুর জেলা শহরে আলেয়া কামেল মাদ্রসা লাইব্রেরি কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, সেটি মূলত লাইব্রেরি নয়, কক্ষের এককোণে আলমারিতে কিছু বই রাখা। শিক্ষার্থীরা বলছে, সেটিই নাকি তাদের লাইব্রেরি। শিক্ষার্থীদের লাইব্রেরি বা গ্রন্থাগার সম্পর্কে তেমন ধারণাই নেই।
মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় দাঁড়িয়ে রয়েছে ভবনকে বুকে নিয়ে। সেই ভবনে কাগজ কলমে ২৯শ বইয়ে ভরা গ্রন্থাগার। তিনবছর আগে পাওয়া বই এখনও প্যাকেট বন্দি হয়ে। গ্রন্থাগারে এসএসসি পরীক্ষার কাগজপত্রসহ, স্কুলের পুরাতন খাতা ও অন্যান্য সামগ্রিতে ভরা। অনেকটা স্টোর রুম হিসেবেই ব্যবহার হচ্ছে গ্রন্থাগারটি। করোনাকালীন সময় থেকে কোনদিন গ্রন্থাগার খোলা হয়নি। বইগুলো রয়েছে দুরাবস্থায়। দির্ঘবছর লাইব্রেরিয়ান পদটি শূন্য। বিদ্যালয়ের ধর্ম শিক্ষক মোসস্তাফিজুর রহমান ও ইংরেজি শিক্ষক বাসাদ আলী মর্নিং ও ডে শিপটে লাইব্রেরিয়ানের দায়ীত্বে আছেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরিমুখো হন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক জানান, স্কুলের গ্রন্থাগার নিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আছে। প্রতিবছর ভর্তির সময় তাদের কাছ থেকে লাইব্রেরি ফি নেয়া হয়। কিন্তু তাদের বই নিতে হলে আবেদন করে বই নিতে হয়। তাছাড়া প্রতিদিনই গ্রন্থাগার বন্ধ থাকে। দশম শ্রেনির এক শিক্ষার্থী জানান- বই পড়ার মাধ্যমে, তারা নিজেদেরকে নতুন জিনিস, নতুন তথ্য, সমস্যার সমাধান করার নতুন উপায় অর্জনের মাধ্যমগুলো খুঁজে পায়। কিন্তু কোনদিন লাইব্রেরি খোলা হয় না। বেশ কয়েখজন শিক্ষার্থী জানান- গ্রন্থাগার নিয়ে কথা বললে স্যারেরা পরে বকা দেবেন। শিক্ষার্থীরা স্বীকার করেন গ্রন্থাকার কোনদিনই খোলা থাকেনা।
মর্নিং শিফটের লাইব্রেরিয়ানের দায়িত্বে থাকা ধর্ম শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে সরেজমিনে গ্রন্থাগারে গিয়ে বই প্রদানের রেজিস্ট্রারে গত তিন বছরে কোন শিক্ষার্থীর নামে বই ইস্যু করা দেখা যায়নি। দেখা যায় বইয়ের আলমারির পাশে এসএসমি পরীক্ষার বস্থাবন্দি খাতা, স্কুলের পুরাতন রেজিস্টারসহ অন্যান্য সামগ্রিতে ভরা। একটি চৌকিও দেখা যায়। ওই চৌকিতে কম্পিউটারের পিন্টারসহ বিভিন্ন সামগ্রি। মোস্তাফিজুর জানান- পাঠ্যভাস কর্মসূচির ৪৮৪টি মিলে মোট বই রয়েছে ২৮৮৪টি। এই করোনাকালীন সময় থেকে কোন ছাত্র গ্রন্থাগারমুখো হয়নি। নাম প্রকাশে একজন শিক্ষক জানান- সপ্তাহে একদিন ভ্রাম্যমান বই লাইব্রেরি আসে স্কুলে। কোন শিক্ষার্থী ওই ভ্রাম্যমান লাইব্রেরি থেকেও বই পড়েনা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শরিফুল ইসলাম জানান- আমরা নিয়মিতভাবে লাইব্রেরি ব্যবহার করার জন্য আমাদের ছাত্র/ছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করি। শিক্ষকদের প্রতি রাস্ট্রিয় নির্দেশ রয়েছে কোন শিক্ষার্থীর সাথে উচ্চস্বরেও কথা বলা যাবেনা। ফলে শিক্ষার্থীদের শাসনের মধ্যে আনা যায় না। শিক্ষার্থীদের পাঠ্যভাস গড়ে তোলাসহ শিক্ষকদের অনেক নির্দেশই উপেক্ষিত থেকে যায়।
মেহেরপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর আবদুল্লাহ আল আমিনের বয়ানে, শিক্ষিত মধ্যবিত্তের ড্রয়িংরুমে আর বই রাখার আলমারি শোভা পায় না। লাইব্রেরির চেয়ারে বসে বই পড়ার দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে। মানুষের অবসর সময় ঢুকে গেছে ফেসবুকের নীল দুনিয়ায়, টুইটারের কলরবে ইনস্টাগ্রাম নামক অনলাইনে। আমাদের মনের মগজ দখল করে নিয়েছে নতুন নতুন ডিভাইস।
আমাদের দেশের লাইব্রেরিগুলো বন্ধ হবার আরেকটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মার্ক এলিয়েট জাকার বার্গের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এই মাধ্যমটি এখন বিশে^র কোটি কোটি মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করছে নীল দুনিয়া মাধ্যমগুলো।
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক, সভাপতি মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাব ও যুগান্তর প্রতিনিধি