দেশের ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ পরীমনি গ্রেফতারের ঘটনাটি। এ চিত্রনায়িকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রতি মুহূর্তের আপডেট জানাচ্ছে দেশের গণমাধ্যমগুলো। উঠে আসছে পেছনেরই ইতিহাসগুলো।
যে কারণে প্রসঙ্গ উঠেছে গত জুনে পরীমনির উত্তরা বোট ক্লাব কাণ্ডের বিষয়টি। ওই সময় ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ছিল ঘটনাটি। যার মামলা এখনও চলছে। এখনো জনমনে রেশ কাটেনি সেই ঘটনা নিয়ে বের হওয়া চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।
সেই ঘটনার রেশেই প্রশ্ন উঠেছে, পরীমনির কথিত মা চলচিত্র ও নাট্টনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী কোথায়? বুধবারে লাইভে এসে পরীমনির আকুতি জানানোর পর থেকে তার বাসায় র্যাবের অভিযান, আটক, গ্রেফতার, আদালতে হাজির ও রিমান্ডের ঘটনায় কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি চয়নিকাকে।
অথচ বোট ক্লাবের ঘটনায় সংবাদসম্মেলনে কাঁদতে থাকা পরীমনির চোখের জল মুছে দিয়েছিলেন চয়নিকা। মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি নিজেও ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। এক কথা সার্বক্ষণিক পরীমনির ছায়া হয়ে থেকেছিলেন। সাহস জুগিয়েছিলেন পরীমনির।
বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। এবারের ঘটনায় পরীমনি নিজেই সাহায্য চাইছিলেন লাইভে এসে। তবুও চয়নিকাকে তার ধারে-কাছেও দেখা যায়নি। আদালতেও যাননি। এমনকি এ নিয়ে গত দুই দিনে নিজের ফেসবুক ওয়ালে কোনো স্ট্যাটাসও দেননি।
নিজের এই অনুপস্থিতির বিষয়ে এক গণমাধ্যমকে চয়নিকা জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় তিনি পরীমনির কাছে ছুটে গিয়েছিলেন দায়িত্ববোধ থেকে। সবার বিপদেই তিনি এভাবে এগিয়ে আসেন। কিন্তু এবার পারেননি কারণ, পরী যখন লাইভে আসেন তখন তিনি ফেসবুকেই ছিলেন না। সন্ধ্যা ৬টার পর তিনি জেনেছিলেন কিন্তু ততক্ষণে বিষয়টি র্যাবের অভিযান চলছে।
তাই বলে ফেসবুকেও কি একটা স্ট্যাটাস দেওয়া গেল না? চয়নিকাকে এ প্রশ্ন না করা হলেও পরে দেখা গেছে, তার ফেসবুক আইডিটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বৃহস্পতিবার রাত থেকেই।
চয়নিকা চৌধুরীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
জানা গেছে, তিনি নিজের আকাউন্ট ডিএক্টিভেট করেছেন। পরী ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে নানারকম নেতিবাচক মন্তব্য দেখা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব সাইবার আক্রমণ থেকে দূরে থাকতেই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিএক্টিভ করেছেন চয়নিকা।
Shares
facebook sharing buttonmessenger sharing buttontwitter sharing button