নভেল করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঘরে বসে সময় কাটাতে দেশব্যাপী বই পড়া প্রতিযোগিতা শুরু করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার বাংলাদেশ।
‘বইয়ে যুক্তি, জ্ঞানে মুক্তি’- এ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ আয়োজনে পঠিত বইয়ের রিভিউ লেখার মাধ্যমে নিতে পারবেন দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে যে কেউ। প্রতিযোগিতার প্রতি পর্বে বিভাগভিত্তিক একজনকে বিভাগীয় বিজয়ী এবং প্রতি দুটি পর্বের বিজয়ীদের মধ্য থেকে একজনকে জাতীয়ভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
আয়োজকরা জানান, প্রতিযোগিতার প্রথম পর্ব গত ১৫ এপ্রিল শুরু হয়ে ৩০ এপ্রিল সমাপ্ত হয়েছে। দুই পর্বে আট বিভাগ থেকে ছয় শতাধিক পাঠক অংশ নিয়েছেন। প্রতি পর্বে ১৫ দিন সময়ের মধ্যে যেকোন এক বা একাধিক বই পড়ে রিভিউ লেখার মাধ্যমে যে কেউ অংশ নিতে পারবেন প্রতিযোগিতায়। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে অনলাইন ফরম পূরণ রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। বই পড়ার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সংগঠটির গ্রুপে বইটির ছবি সম্বলিত অন্তত তিনটি পোস্ট দিতে হবে। এরপর পঠিত বইয়ের উপর ৭০০-১২০০ শব্দের মধ্যে রিভিউ লিখে সংগঠনটির ই-মেইল অথবা ফেসবুক পেজে ম্যাসেজের মাধ্যমে পাঠাতে হবে।
ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার বাংলাদেশের জাতীয় ফোরাম সদস্য ও প্রতিযোগিতার সমন্বয়কারী রাফিউ আহমেদ বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী এই মহামারিতে মানুষ ঘরবন্দী। এ সময়ে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে। এই চিন্তা থেকে আমরা বই পড়া নিয়ে একটি প্রতিযোগিতার শুরু করেছি। প্রতি পর্বে বিভাগ ভিত্তিক আটজন এবং প্রতি দুই পর্ব শেষে জাতীয়ভাবে একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় পর্ব শেষ হয়ে তৃতীয় পর্বও চলছে। প্রতি পর্ব সমাপ্ত হলে বিভাগীয় বিজয়ীদের নাম এবং দুই পর্ব শেষেজাতীয় ভাবে বিজয়ীর নাম ঘোষণার করা হবে। তাদের পুরস্কৃত করা হবে।’
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের ইয়ুথ মোবিলাইজেশন ইউনিট ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার বাংলাদেশ।
প্রতিযোগতার বিষয়ে সংস্থাটির ইয়ুথ মোবিলাইজেশন ইউনিটের প্রধান শশাঙ্ক বরণ রায় জানিয়েছেন, ‘লকডাউন পরিস্থিতিতে বাসায় থাকা তরুণদের মেধাবিকাশের কাজে যুক্ত রাখতে আমাদের এ উদ্যোগ। এর মাধ্যমে মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ গঠনে দেশের মেধাবী ও সৃজনশীল তরুণরা ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করি।’
বিস্তারিত তথ্য সংগঠনটির ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/ YEHBD/ এবং ফেসবুক গ্রুপ https://www.facebook.com/ groups/YEH.THP/ রয়েছে।