জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি বলেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিঘাপ্রতি থেকে ৭ মনের বেশি ধান পাওয়া যেতনা। আজকে উন্নত বিজের মাধ্যমে ৩০ মন পর্যন্ত ধান পাওয়া যাচ্ছে। আজ গ্রাম শহরে পরিণত হয়েছে। গ্রামে বসেই মানুষ শহরের সকল সুবিধা পাচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কারণে কৃষি ফসল মাঠ থেকে ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো যায়। এর ফলে কৃষিতে ব্যাপক বিপ্লব ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে আমঝুপি বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আমঝুপি ইউনিয়ন কৃষকলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন।
ফরহাদ হোসেন বলেন, আজ সারা বাংলাদেশে পরিবর্তন ঘটে গেছে। ২০০৮ সালের আগে দেশে সারের যে অব্যবস্থাপনা ছিলো। কৃষকরা ঠিক মত সার পাচ্ছিলেন না, ৬০ টাকা কেজি ইউরিয়া সার কিনেছেন। এমওপি পাওয়া যাচ্ছিলো না। ৯০ টাকা কেজি দরে এমওপি কিনতে হতো। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান বাংলাদেশ কৃষিতে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার কৃষি বান্ধব সরকার।
আমঝুপি ইউনিয়ন কৃষক লীগের আহ্বায়ক মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা কৃষক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব আলম শান্তি, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল ইসলাম পানু, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আমঝুপি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহমেদ চুন্নু, সাধারণ সম্পাদক ও বাড়াদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন।
সম্মেলন শেষে মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হককে সভাপতি এবং সাদ আলীকে সাধারণ সম্পাদক করে আমঝুপি ইউনিয়ন কৃষক লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।