‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় শেখ হাসিনার অবদান, বিনামূল্যে লিগ্যাল এইডে আইনি সেবাদান’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে মেহেরপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গনে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৩ পালিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে আটটার সময় শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়ানো সহ এক বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। পরে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মেহেরপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এবং মেহেরপুর জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল্লাহর সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শরিয়ত উল্লাহ সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. আব্দুস সালাম, বিচারক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মোঃ তোহিদুল ইসলাম, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক, মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেল আজমল হোসেন, পিপি পল্লব ভট্টাচার্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ খালেক,জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কামরুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক খ ম ইমতিয়াজ হারুন বিন জুয়েল, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অলোক কুমার দাস, এ্যাড. সাথী বোস, সরকারী কোশলী এ্যাড. গোলাম মোস্তফা সহ সেবা গ্রহিতা পারুল খাতুন ও উজ্জল হোসেন।
আলোচনা সভায় জেলা লিগ্যাল এইডের কার্যক্রম তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সেলিম রেজা। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ
বিনির্মানে লিগাল এইড অনন্যা ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের যে কোন মানুষ ১৬৪৩০ টোল ফ্রি নাম্বারে কল করে বা সরাসরি লিগাল এইড অফিসে এসে আইন গত সহায়তা নিতে পারে। বাংলাদেশের প্রান্তিক ও গ্রামীণ জনপদের দরিদ্র ও হতদরিদ্র জনগন যাতে মামলা পরিচালনার ব্যায়ভার মেটাতে না পেরে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হয় সেই লক্ষে শেখ হাসিনা ২০০০ সালে জেলা পর্যায়ে লিগাল এইড বা আইনগত সহায়তা কেন্দ্র চালু করেন, পরবর্তীতে ২০১১ সালে আইন সংশোধন করে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আইনগত সহায়তা কেন্দ্রের সেবা বিস্তৃত করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রচারণার অভাবে এ কার্যক্রম ততোটা গতি না পেলেও বর্তমানে অনেক মানুষ লিগাল এইড থেকে আইনি সহায়তা পেয়ে উপকৃত হচ্ছে। এতে আদালতে মামলার চাপও অনেকটা কমেছে।’