দুজনের পরিচয়ের সূত্রপাত বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)। সেখানে পড়ার সময়েই পরিচয়, যা এক সময় গড়ায় প্রেমে। পরিবারের সম্মিতে যা পেল কাঙ্খিত পরিণয়ও।
সোমবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিয়ে সম্পন্ন হলো জাতীয় নারী দলের ক্রিকেটার জিনাত আসিয়া অর্থি ও জাতীয় ফুটবল দলের স্ট্রাইকার মাহবুবর রহমান সুফিলের। বগুড়ার ম্যক্স মোটেলে ঘরোয়া পরিবেশে হয় তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান। দুই পরিবারের সদস্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বগুড়ার বেশ কয়েকজন নারী ক্রিকেটার।
মাত্রই বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাইপর্ব খেলে কাতার থেকে ফিরেন সুফিল। তার আগে ঘরের মাটিতে নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে দৃষ্টিনন্দন গোল করে আলোচনায় এসেছিলেন।
বিয়ে নিয়ে সুফিল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অবশেষে বিয়েটা করেই ফেললাম। আড়াই বছর ধরে অর্থির সঙ্গে পরিচয় এক বন্ধুর মাধ্যমে। এখন সুযোগ মিলতেই অর্থিকে জীবনসঙ্গী করে নিলাম। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
অর্থী বলেছেন, ‘আমাদের প্রথম পরিচয় হয় বিকেএসপির বন্ধুদের মাধ্যমে প্রায় তিন বছর আগে। এর পরে ধীরে ধীরে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীরতা লাভ করে। অনেক আগে থেকেই বিয়ের কথা চলছিল কিন্তু সুফিলের ব্যস্ততার কারণে বিয়ে করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি আমার বাবা অসুস্থ হওয়ায় বিয়ে করতে হলো করোনার মধ্যে।’
সোমবার বিয়ের অনুষ্ঠানের আগে বগুড়ায় শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে যান বর-কনে। সেখানে নানান আয়োজনে নারী ক্রিকেটাররা তাদের সংবর্ধনা দেন।
সিলেটের সুনামগঞ্জের ছেলে সুফিল বাংলাদেশ জাতীয় দলের সেরা তারকাদের একজন। কদিন আগেই নেপালের বিপক্ষে জয়সূচক দারুণ এক গোল করে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচেও প্রথম একাদশে একমাত্র স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেন সুফিল। ওই ম্যাচ খেলেই কাতার থেকে ফিরে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেলেন তিনি।
বগুড়ার মেয়ে অর্থী ক্রিকেট খেলেন রাজশাহী বিভাগের হয়ে। প্রিমিয়ার লিগে ঢাকা মোহামেডানের হয়ে খেলতে দেখা গেছে তাকে। জাতীয় ইমার্জিং দলের ক্যাম্পেও ডাক পেয়েছিলেন অর্থী।