জুলফিকার আলী কানন : শ্রীলংকা ইস্যু প্রসঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাসিম বলেন, মুজিবনগর সরকারে মধ্য দিয়ে ৯ মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধে মাধ্যমে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র পেয়েছি। সেই স্বাধীন রাস্ট্রটিকে যারা অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা ও ব্যার্থ বানাতে চান।রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চান, বিএনপি জামায়াত যারা দেশের অস্তিত্ব নিয়ে সম সময় বিভিন্ন সময়ে বিতর্কত প্রশ্নের বিতর্কত দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত ও দেশকে দেওলিয়া পরিণত করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার যে স্বপ্নে বিভোর।
মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে মুকিতযোদ্ধা মন্ত্রণালয় কর্ৃক আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে মুজিবনগর স্মৃতিশোধে পুস্পমাল্য অর্পণ শেষে সাংবিাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
বিএনপি জামায়াতীরা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে সয্য করতে পারেনা।তারা বাংলাদেশকে কিভাবে ছোট করা যায় বাংলাদেশের ভিতরে অরাজকতা, অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা যায়। তারা অপপ্রচার ও মিথ্যাচারে লিপ্ত।সেই মিথ্যাচারের অংশ হিসেবে শ্রীলংকা নিয়ে মিথ্যাচার করছে। শ্রীলংকা কি কারণে দেওলিয়া হয়েছে দেশবাসি, সাংবাদিক ও বিশ্ববাসি জানে।একই ধরণের ঘটনায় অতীতে পাকিস্থানেও হয়েছে।তাদের দেওলিয়া হওয়ার পিছনে ছিল দেশ ও জনগণের স্বাথের চেয়ে দূর্ণীতি ও দলীয়করণ ছিল। শ্রীলংকার অর্থনীতি দেওলিয়া হওয়ার পেছনে যে কারণ সেটি হলো তাদের অর্থনীতি পর্যটন শিল্পের উপর নির্ভরশীল। তারা খাদ্য আমদানীর উপর নির্ভরশীল।বাংলাদেশ সেটা নয়। বাংলাদেশের অর্থনীতি, প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি অনেক গুনে শক্তিশালী। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে নয়, বাংলাদেশ আত্মনির্ভরশীল।বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ।বাংলাদেশ ব্যাংকে বাংলাদেশের যে রেমিটেন্সের জমা আছে তা ৪৫ মিলিয়ন ডলার।যেটা পাকিস্থান এবং শ্রীলংকার চেয়ে কয়েক গুন বেশী।বিএনপি জামায়াতীরা বাংলাদেশকে পাকিস্থান বানানোর স্বপ্ন দেখেন তারাই বাংলাদেশে করোণায় লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হোক এই কামনা করে অপপ্রচার করেছে। বাংলাদেশ শ্রীলংকার মত হয়ে যাচ্ছে অপপ্রচার করে দেশের স্বার্বভৌমত্ব ও বাংলাদেশের জনগণের সেটা বিপন্ন করে রাস্ট্রিয় ক্ষমতায় যাওয়ার পায়তারা করছে। সেই অপপ্রচারে বাংলাদেশের মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। বাংলাদেশকে কখনো শ্রীলংকা বানানো যাবেনা। বাংলাদেশকে কখনো পাকিস্থান ও আফগানীস্থান বানানোর কোনো স্বপ্ন যদি কেউ দেখে থাকে সেটা বাস্তবায়ন হবেনা।
বেগম খালেদা জিয়াকে অবৈধভাবে আটকিয়ে রাখা হয়েছে এমন অভিযোগ করে থাকেন বিএনপি মহাসচিব মির্যা ফকরুল ইসলাম আলমগীর এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্যা ফকরুল অনেক কথাই বলে থাকেন।সেটা কতক্ষানি সত্য আর মিথ্যা সেটা বাংলাদেশের মানুষ জানে। তিনি বলেন খালেদা জিয়া দূর্ণীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। এতিম ও অনাথ শিশুদের অর্থ আত্মসাতের দায়ে তিনি সাজাপ্রাপ্ত। দেশের সর্বাচ্চ আদালত তাকে সাজা দিয়েছেন।তার বিরুদ্ধে দূর্ণীতির অভিযোগে মামলা আওয়ামীলীগ দেইনি। আওয়ামীলীগ সাজা দেইনি। তাকে সাজা দিয়েছে আদালত।তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সে মামলায় রায় হয়েছে। আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত মানবিক কারণে তার সাজা মুওকুফ করে তাকে বাড়িতে থাকার অনুমতি দিয়েছেন। যাতে তিনি সুস্থভাবে জীবন যাপন করে সুস্ঠভাবে চিকিৎসা নিতে পারেন। এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বিএনপি যদি অপপ্রচার করে তাহলে এটাই বোঝা যায়, তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া জেলের বাইরে থাকুক সেটা চাইনা। তারা চাই খালেদা জিয়াকে যে সুযোগ দিয়েছে সেটা থেকে খালেদা জিয়া বঞ্চিত হোক। খালেদা জিয়ার বাইরে থাকা নিয়ে মির্যা ফকরুলদের কোনো দুরভিসন্ধি আছে।সময় বলে দেবে মির্যা ফকরুলরা খালেদা জিয়ার কি চাই।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেকের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন প্রতমিন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, অ্যাড আফজাল হোসেন